Judge Aarti Arun Sathe: মহারাষ্ট্র বিজেপি (Maharashtra BJP)-র প্রাক্তন মুখপাত্র আরতি সাঠে এবার বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতির আসনে বসবেন। বছর দুয়েক আগে মুম্বইয়ের উকিল আরতি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, তিনি মহারাষ্ট্র বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করবেন। মহারাষ্ট্র রাজনীতির উত্তাল সময়ে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে বিজেপির হয়ে গলা ফাটিয়েছিলেন আরতি। তিনিই এবার বিচারপতি হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দেবেন। যদিও বিজেপির দাবি, উনি ইতিমধ্যেই দলের মুখপাত্রর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তাতেও কি রাজনৈতিক ইস্যু বা নেতাদের কেসে নিরপেক্ষ বিচার হবে? যেখানে বিচারপতিই একটা বিশেষ দলের হয়ে গলা ফাটিয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
গত ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের (Supreme Court collegium) পর বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে তিনজনকে নিয়োগ করা হয়, তাঁরা হলেন- অজিত কাদেঠানকার, সুশীল মনোহর শোদেসওয়ার ও আরতি অরুণ সাঠে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় একাধিক মামলায় সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে তোপ দাগেন। পরে বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিয়ে তিনি লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে সাংসদ হন।
দেখুন খবরটি
Supreme Court collegium has appointed Maharashtra BJP Spokesperson Aarti Sathe as Bombay High Court Judge
Abb Hoga Nispakh Nyay 🔥 🔥 🔥
Congratulations 🎉 To All Indians pic.twitter.com/0qlhCSEmDF
— Mr. URG (@GuyUnrealistic) August 5, 2025
দেখুন বিজেপি মুখপাত্রের ভূমিকায় বোম্বে হাইকোর্টের নব নিযুক্ত বিচারপতি
BJP ki spokesperson Aarti Sathe ab Bombay High Court ki judge ban gayi hain. Waah re separation of powers, zinda ho tum. Kaun impartial justice dega iss se behtar jo kal tak TV pe ek party ka bachav kar rahi thi. Ab toh judiciary ki independence bilkul safe lag rahi hai pic.twitter.com/8mju805Ogp
— Son of panjab (भारतीय 🇮🇳) (@DHAKKADCONGRESS) August 5, 2025
বিচার ব্যবস্থায় রাজনীতির রঙের অভিযোগ বারবার উঠছে
বিচারব্যবস্থায় রাজনীতি ঢুকে যাওয়ার কথা বারবার শোনা যায়। আদালতের বিচারপতি, বা বিচারকদের রাজনীতির রঙ খুঁজে রায় দেওয়ার অভিযোগটা সাম্প্রতিককালে বারবার শোনা যায়। সাধারণ মানুষের অমুক বিচারপতি থাকলে ওই কেসটা ও জিতবে, বা উনি বিচারপতি বলে এই কেসটা আমরা হারবই। বিভিন্ন জেলা আদালত বা হাইকোর্টের মামলা চলাকালীন এখন এমন কথা কান পাতলেই শোনা যায়। এমন সময় শাসক দলের প্রাক্তন মুখপাত্রের বিচারপতি হওয়ার বিষয়টা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন দেশের বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা।