আরজি কর (RG Kar Medical College and Hospital) কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়় গোটা বাংলা। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। রাজ্য সরকার সহ পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছে বিজেপি শিবির। এরমধ্যে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ধর্ষণ বিরোধী বিল পাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে ইতিমধ্যে নবান্ন অভিযান, ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ, বিক্ষোভ সমাবেশ সহ একাধিক কর্মসূচি করেছে গেরুয়া শিবির। এছাড়া জাতীয় স্তরে এই নিয়ে একাধিক বিজেপি নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেছে।
এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা সৈয়দ শাহনাওয়াজ হুসেন (Syed Shahnawaz Hussain)। তাঁর মন্তব্য, পুলিশ টাকা দিয়ে এই কেসটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা অনেকবারই করেছে। এই অভিযোগ মৃতার পরিবার করেছে। ফলে একটা জিনিস স্পষ্ট যে রাজ্যের পুলিশ দোষীদের বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন। আর তাঁদের এই কৌশল এখন সবাই বুঝতে পেরেছে। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে অবশ্য সিবিআই তদন্তের দায়িত্বভার নেওয়ার পর তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হয় সঞ্জয় রায়কে।
Delhi: On RG Kar Medical College rape-murder case, BJP leader Syed Shahnawaz Hussain says, "The victim's parents have made very serious allegations, claiming that the police tried to suppress the case and buy their integrity. It is now clear that the police were engaged in… pic.twitter.com/7dJB0kDmi9
— IANS (@ians_india) September 5, 2024
অন্যদিকে আরজি করের সুপারের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল সুপারের নির্দেশেই ওই জুনিয়র চিকিৎসককে হত্যা করা হয়ছিল। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে হাসপাতালে দুর্নীতিরও অভিযোগ ওঠে। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশে হাসপাতালে দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্ত যখন সিবিআই শুরু করে, তখন থেকেই সিবিআই দফতরে একাধিকবার জেরা করা হয় সন্দীপকে। অবশেষে গত সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই আধিকারিকরা।