বিহার বিধানসভায় অনায়াসে আস্থা ভোটে জিতে সিংহাসন মজবুত করলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। ক দিন আগে কংগ্রেস-আরজেডি-র সমর্থনে চলা সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিজেপির হাত ধরে ফের সিংহাসনে বসেন নীতীশ। বারবার শিবির বদলেও নীতীশ নিজের গদি অটুট রাখলেন। আস্থা ভোটে ১২৯টি ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সহজ জয় পেলেন। ২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় আস্থা ভোটে জিততে নীতীশের দরকার ছিল ১২২টি ভোট। নিশ্চিত হার বুঝতে পেরে বিরোধীরা ফ্লোর টেস্টের আগে ওয়াকআউট করেন।
নীতীশ নিজের দল, বিজেপি, এনডিএ-র বাকি দলগুলির বিধায়কদের সব ভোট তো পেলেনই, সঙ্গে আরজেডি-র অন্তত পাঁচ বিধায়কের ক্রস ভোটিংয়েরও সুবিধা পেলেন। আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেছিলেন, খেলা হবে। কিন্তু কোনও খেলাই হল না। বরং নীতীশের আস্থা ভোটে ক্ষতি হল তাঁর দলের। আস্থা ভোটের আগে অনেক জল্পনা ছিল জেডি (ইউ) ও বিজেপির কয়েকজন বিধায়ক ক্রস ভোটিং করে নীতীশকে হারিয়ে দিতে পারেন। এনডিএ-র পক্ষে ছিল ১২৭ আর মহাগঠবন্ধনের পক্ষে ১১৫টি ভোট।
দেখুন ভিডিয়ো
#WATCH | Bihar CM Nitish Kumar's government wins Floor test after 129 MLAs support the resolution.
The opposition walked out from the State Assembly. pic.twitter.com/Xr84vYKsbz
— ANI (@ANI) February 12, 2024
ফলে এনডিএ শিবিরের ৬-৭ জন বিধায়ক ক্রস ভোটিং করলেও খেলা ঘুরে যেত। বিপদের আঁচ পেয়ে দু দিন আগে থেকেই বিজেপি নিজেদের বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। নীতীশ তাঁর দলের বিধায়কদের নিজের ঘরেই রাখেন। জল্পনাটা আরও ছিল, নীতীশের বারবার শিবির বদল করা নিয়ে দলের নেতাদের ক্ষোভ নিয়ে। কিন্তু বিজেপির ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট এবারও সফল হল। কংগ্রেসও তাদের দলের বিধায়কদের সব ভোট ধরে রাখতে পেরে খুশি।
গতকাল রাতের টানটান উত্তেজনার পর আস্থা ভোটের আগে বিধানসভায় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। স্পিকার বা অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্বাচনে ১২৫-১১২ ভোটে জিতল এনডিএ-র শিবিরে থাকা নীতীশ কুমারের সরকার। ফলে অপসারিত হলেন স্পিকার। এবার হবে আস্থা ভোটে। আঁচ পাওয়া গেল আস্থা ভোটে জিততে কোনও অসুবিধাই হবে না নীতীশের।
নীতীশের গড় ভাঙানো তো দূরের কথা উল্টে লালু-তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি-র তিন বিধায়ক নীতীশের দিকে ভোট দিলেন। আরজেডি বিধায়ক চেতন আনন্দ, নীলম দেবী ও প্রহ্লাদ যাদব নীতীশের দিকে গিয়ে বিধানসভায় সরকারি বেঞ্চে বসেন।স্পিকার অপসারণের আগে রাজ্যপালের ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিহার সরকারের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কথা বলেন রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকার।