মুম্বই, ১৫ অক্টোবর: মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বাবা সিদ্দিকি (Baba Siddiqui Murder )-কে গত শুক্রবার দশেরায় প্রকাশ্যে গুলি করা হত্যা করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। তিন মাস আগে থেকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি (অজিত পাওয়ার) নেতা বাবা সিদ্দিকি-কে খুনের ষড়যন্ত্র করা শুরু হয়। পুণেতে একেবারে নিখুঁত ছক কষে খুন করা হয় বাবা সিদ্দিকি-কে। মুম্বই ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ সূত্রে খবর, অস্ত্র ছাড়া বেশ কয়েকবার বাবা সিদ্দিকির বাড়িতে যায় দুষ্কৃতীরা। কুখ্যাত লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে বলে স্বীকার করেছে দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি দেখতে বারবার মুম্বইয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় যায় দুষ্কৃতীরা।
বাবা সিদ্দিকিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া দুই দুষ্কৃতী-গুরমাইল সিং এবং ধরমরাজ কাশ্যপ ইউ টিউব ভিডিয়ো দেখে ম্যাগাজিন ছাড়ায় বন্দুক থেকে গুলির লক্ষ্যভেদ করতে শেখে। এখনও পর্যন্ত এই কাণ্ডে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন দুষ্কৃতী এখনও পলাতক। মুম্বই পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো রঙের ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। তার ভিতর ছিল ৭.৬২ এমএম বন্দুক (7.62 MM gun)।
দেখুন খবরটি
Baba Siddiqui murder case | The accused shooters Gurmail Singh and Dharamraj Kashyap learned to shoot by watching videos on YouTube and the same accused used to practice shooting (without a magazine) in Mumbai. Mumbai Crime Branch has arrested 4 accused so far and three accused…
— ANI (@ANI) October 15, 2024
বাবা সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্ত চতুর্থ দুষ্কৃতী হরিশ মিডলম্যান বা মধ্যস্থতাকীর হিসেব কাজ করত। গুরমিল সিং ও ধরমরাজ কাশ্যপ নামের প্রধান দুই শ্যুটারকে হরিশ ২ লক্ষ টাকা দেয়। সঙ্গে দুই শ্য়ুটারকে দুটি মোবাইল ফোনও দেয় সে। ৯ বছর ধরে হরিশ পুণেতেই থাকত। পুরো হত্যাকাণ্ডের ছক স্ন্যাপচ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে চ্যাটে এবং কলের জন্য ইনস্টাগ্রামে ব্যবহার করত দুষ্কৃতীরা। খুনের দিন ২৫ আগে আগে অফিস ভাড়া নিয়ে নিয়মিত মিটিং করতে দুষ্কৃতীরা। দুই শ্য়ুটারকে প্রথমে বাবা সিদ্দিকের ছবি দেখিয়ে বলা হয় এঁকে খুন করতে হবে।