আগরতলা, ২৪ নভেম্বর: সিপিএমের আমলে মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি সঠিকভাবে। তৃণমূল প্রার্থীদের (TMC) উপর যে নৃশংসতা চালানো হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া হবে না। মানুষ লড়াই করে নিজেদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখেন। এমনই মন্তব্য করলেন ত্রিপুরার (Tripura) বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। যা নিয়ে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির বিধায়ক হয়ে সুদীপ রায় বর্মণ (Sudip Roy Barman) কীভাবে দল বিরোধী কথা বলেন, তা নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরমহলে।
ত্রিপুরায় ক্রমশ শাক্তি বাড়াচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুরভোটের আগে থেকে ত্রিপুরায় জোর প্রচার শুরু করেছে জোড়াফুল শিবির। ত্রিপুরার মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), সায়নী ঘোষ, সুস্মিতা রায় চৌধুরীরা। ত্রিপুরায় তৃণমূল শক্তি বাড়ানো শুরু করায়, বিজেপির কপালে চিন্তার ভোঁজ পড়তে শুরু করেছে বলে দাবি করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের তরফে।
আরও পড়ুন: Kirti Azad: 'মমতার নেতৃত্বে কাজ করতে চাই', তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন কীর্তি, জোড়াফুলে অশোক তনওয়ারও
সম্প্রতি ত্রিপুরায় প্রচারে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। সায়নীকে ২ দিনের হেফাজতে পুলিশ চাইলেও, আদালত সাড়া দেয়নি। সায়নীর জামিন মঞ্জুর করে আগরতলা আদালত। এরপর সায়নীর গলায় প্রত্যয়ী সুর শোনা যায়। বিজেপির বিপ্লব দেবের সরকার যত চেষ্টাই করুক না কেন, ত্রিপুরায় জোড়াফুল ফুটবেই বলে প্রত্যয়ী বার্তা দেন সায়নী ঘোষ।