কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন পরিবারের এক সদস্য, এছাড়া পরিবারের অনেকেই ভারতীয় সেনায় রয়েছেন, কিংবা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত। সেই পরিবারকে রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশী সন্দেহে হেনস্থা করল স্থানীয় বাসিন্দারাই। গত শনিবার এমনই ঘটনা ঘটেছিল পুনের (Pune) চন্দনগর এলাকায়। এই নিয়ে প্রথমে স্থানীয় থানায় জানানো হলে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ নিগৃহীত পরিবারের। পরে সংবাদমাধ্যমে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে তখনই নড়েচড়ে বলে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন।
কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি পুলিশের
এই ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে বার্তা দিয়েছে রাজ্য পুলিশের সিপি অমিতেশ কুমার। তিনি বলেন, আমরা পরিবারের তরফে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশের উধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গিয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি যে তাঁদের সমস্ত অভিযোগের তদন্ত হবে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেনি। কারণ ঘটনাস্থলে কোনও পুলিশকর্মীর উপস্থিত ছিল না।
পরিচয়পত্র দেখানোর দাবি
প্রসঙ্গত, গত শনিবার গভীর রাতে চন্দননগরে এ্কটি পরিবারের ওপর হেনস্থা করে স্থানীয়রা। অভিযোগ, কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন পুরুষ বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে। তারপর তাঁদের থেকে আধার কার্ড, প্যান কার্ড চাওয়া হয়। ঘরে বাচ্চা, মহিলা ছিলেন, তাঁদের ঘরেও ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। এরপর পরিচয়পত্র দেখানো হলে তাঁরা সেটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে এবং পরিবারের সদস্যরা রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশী এই প্রশ্নও করা হয়।