নতুন দিল্লি, ৮ অক্টোবর: হরিয়ানায় (Haryana Assembly Elections 2024) হারতে হারতে জয় পেয়ে বাজিগর হয়ে গেল বিজেপি (BJP)। 'হার কর জিতনে বালো কো' এবার থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে হরিয়ানার বিজেপি বলা হলে ভুল হবে না। দেশের খেলার রাজধানীতে 'খেল' দেখিয়ে হ্যাটট্রিক করল নরেন্দ্র মোদীর দল। অন্যদিকে, সংবিধানের ৩০ ধারা প্রত্যাহারের পর জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম বিধানসভা ভোটে জাদুকর হয়ে গেলেন ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর ছেলের ওমর আবদুল্লা। জম্মু-কাশ্মীরে ৫১টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসছে ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেস । তার মধ্যে কংগ্রেস অবশ্য মাত্র ৬টি আসনে জিতেছে। জম্মু-তে ভাল ফল করলেও কাশ্মীরে ভরাডুবি হল বিজেপির। ফলে হরিয়ানায় উচ্ছ্বাসের মাঝে ভূ-স্বর্গে হতাশ হতে হল গেরুয়া শিবিররকে।
সবাইকে চমকে দিয়ে, এক্সিট পোলকে মহাভুল প্রমাণ করে হরিয়ানায় ফের ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি। এক্সিট পোলগুলিতে বলা হয়েছিল, কংগ্রেস ঝড়ে উড়ে যাবে বিজেপি। এদিন গণনার শুরুতে তেমনটাই দেখা যাচ্ছিল। হরিয়ানায় দু-তিন রাউন্ড গণনার পর দেখা যাচ্ছিল কংগ্রেস ৬৫টি আসনে এগিয়ে, সেখানে বিজেপি মাত্র গোটা ২০টি-তে এগিয়ে। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন উত্তর ভারতের এই রাজ্যে দশ বছর পর কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বলা যত গড়িয়েছে, পুরোপুরি উল্টে গিয়েছে। একের পর এক আসনে পিছিয়ে থেকে লিড নিতে নিতে বিজেপি শেষ পর্যন্ত ৯০ আসনের বিধানসভায় ৫০টি-তে জিতে নেয়। দশ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও গতবারের চেয়ে ১০টি বেশী আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি।
ক মাস আগে মনোহর লাল খট্টারকে সরিয়ে নায়েব সাইনি-কে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানোর অমিত শাহ-জেপি নাড্ডার সিদ্ধান্তটা শেষ পর্যন্ত মাস্টার স্ট্রোক হয়ে গেল। কৃষক আন্দোলনের বড় কোনও প্রভাবই পড়ল না ভোটে। অন্যদিকে, হুডা পরিবারের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতায় ডুবল কংগ্রেস। দলীয় কোন্দল, ভুল প্রার্থীর কারণে অন্তত ১০-১৫টি আসনে হারল হাত শিবির। সেটাই শেষ পর্যন্ত বড় ফারাক গড়ে দিল। বিজেপি ৫০টি আসনে জিতল, সেখানে কংগ্রেস পেল ৩৪টি আসনে। হরিয়ানায় এত আসন এর আগে বিজেপি কখনও জেতেনি। আর সেটা এমন সময় এল, যখন বলা হচ্ছিল কৃষক আন্দোলন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ঝড়ে পুরো উড়ে যাবে বিজেপি। ঝড় এল ঠিকই কিন্তু সেটা মোদীর অনুকুলে।