Paran Banerjee on Teko: 'টাক নিয়ে আফসোস নয়, বরং গর্ব হোক' বাংলা ছবি 'টেকো' নিয়ে লেটেস্টলি বাংলাকে জানালেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ ব্যানার্জী
আগামী ২২ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে অভিমন্যু মুখার্জির (Abhimunya Mukherjee) নতুন বাংলা ছবি 'টেকো (Teko)।' ছবির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিলে যায় হামেশাই। কারণ চুল কম বা চুলহীন টেকো ব্যাক্তিদের চুলহীনতা নিয়ে আফসোস বরাবরের। টাক ফাঁক করে চুল গজাতে কি উপায়ই না হাতড়ে বেড়ান তারা। কখনও জড়ি-বুটীওয়ালা তেল (Hair Oil) তো কখনও আকাশ ছোঁয়া দামের শ্যাম্পু (Shampoo)। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় চুল গজানো তো দুরস্ত মাথা হয়ে গিয়েছে অবিকল গড়ের মাঠ। ছবিতে প্রধান চরিত্র ঋত্বিক চক্রবর্তীর (Ritwik Chakraborty) ঠিক এমনটাই হাল হয়। চুল গজাতে তেল কিনে মাথায় যে কটা চুল ছিল তাও হয়ে যায় হাওয়া। যার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বাকি গল্প জানা যাবে হলে গিয়ে ছবি (Cinema) দেখলে। কিন্তু তার আগেই চিরন্তন এই ভোগান্তিকে উপজীব্য করে বানিয়ে ফেলা বাংলা চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে সদ্য পা রাখা অভিমন্যুর ছবি 'টেকো' নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ ব্যানার্জী (Veteran Bengal Actor Paran Banerjee)।
কলকাতা, ২৭ অক্টোবর: আগামী ২২ নভেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে অভিমন্যু মুখার্জির (Abhimunya Mukherjee) নতুন বাংলা ছবি 'টেকো (Teko)।' ছবির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিলে যায় হামেশাই। কারণ চুল কম বা চুলহীন টেকো ব্যাক্তিদের চুলহীনতা নিয়ে আফসোস বরাবরের। টাক ফাঁক করে চুল গজাতে কি উপায়ই না হাতড়ে বেড়ান তারা। কখনও জড়ি-বুটীওয়ালা তেল (Hair Oil) তো কখনও আকাশ ছোঁয়া দামের শ্যাম্পু (Shampoo)। কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায় চুল গজানো তো দুরস্ত মাথা হয়ে গিয়েছে অবিকল গড়ের মাঠ। ছবিতে প্রধান চরিত্র ঋত্বিক চক্রবর্তীর (Ritwik Chakraborty) ঠিক এমনটাই হাল হয়। চুল গজাতে তেল কিনে মাথায় যে কটা চুল ছিল তাও হয়ে যায় হাওয়া। যার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। বাকি গল্প জানা যাবে হলে গিয়ে ছবি (Cinema) দেখলে। কিন্তু তার আগেই চিরন্তন এই ভোগান্তিকে উপজীব্য করে বানিয়ে ফেলা বাংলা চলচ্চিত্রে পরিচালক হিসেবে সদ্য পা রাখা অভিমন্যুর ছবি 'টেকো' নিয়ে মুখ খুললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা পরাণ ব্যানার্জী (Veteran Bengal Actor Paran Banerjee)।
লেটেস্টলি বাংলার মুখমুখি হয়ে পরাণবাবু জানালেন, "টাক নিয়ে আফসোস নয়, বরং গর্ব হোক।' টাক নিয়ে এত আফসোস হবে কেন। শরীরের আর পাঁচটা অংশের মত ওটাও একটা। সর্বোপরি ভগবান যাকে যা দেন তা নিয়ে নিজেকে সাবলীলতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটাই তো কাম্য। তার জন্য কেন জড়ি-বুটীওয়ালা তেল ব্যবহার করতে হবে?" আপনি যদি এমন অবস্থার শিকার (Victim) হতেন তাহলে প্রতিক্রিয়াটা (Reaction) কি একই থাকত? পরাণবাবু উত্তরে বলেন, "আমি ঋত্বিকের জায়গায় থাকলে আনন্দে দু'হাত তুলে নাচতাম। চুল ওঠা নিয়ে আমার কোন আফসোসই থাকত না। কারণ আমার যদি চুল ওঠার থাকে তা সময়ের নিয়মে উঠতই।" চুল ছেড়ে গেল বলে সঙ্গে সঙ্গে প্রেমিকাও (Girl Friend) গেল...বিয়ের প্রস্তাব নাকোচ সরাসরি- সেই প্রসঙ্গে কী বলবেন? পরাণবাবুর উত্তর "এখনকার ছেলেপুলের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই দেখছি মাথায় চুল কম। তাই তাদের জন্য বলব এই দেখে যদি কোন মেয়ে বলে বিয়ে করবে না, তাহলে সে সাক্ষাৎ বিপদের হাত থেকে বাঁচল। চুলকে যদি কোন মেয়ে পৌরুষত্ত্বের মাপকাঠি ভাবে, তাহলে সে দূরে থাক।" আরও পড়ুন: টাক নিয়ে আর নয় 'টেকো'-'বালা ' চুলোচুলি, ট্রেলারই আলাদা করল জল- দুধ
অভিমন্যু এই প্রসঙ্গে লেটেস্টলি বাংলাকে (LatestLY Bangla) জানিয়েছেন, "পরাণ জ্যেঠু একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। যা বলেছেন সেই বার্তাই লুকোনো রয়েছে ছবির মধ্যে। বাকিটা জানতে গেলে দেখতে হবে 'টেকো।' উল্লেখ্য, ঘটনাচক্রে একই মাসে মুক্তি পাচ্ছে একই কনসেপ্টে বানানো আর দুটি ছবি। 'বালা' এবং 'উজরে চমন।' এতেই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয় দর্শকের হৃদয়ে। ছবির ট্রেলার লঞ্চের আগের দিনই সেই জটও নিজে হাতে খুলে দিয়েছিলেন অভিমন্যু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, "ছবিটিতে টাকটাই কমন। দুটি ছবির গল্প সম্পূর্ণ আলাদা। আমার ছবির গল্প একজন টাক মাথার ছেলে কীভাবে লড়াই করে। আর 'বালা'র ট্রেলার দর্শক আগেই দেখেছে। দুটি ট্রেলার মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন ছবি দুটি আলাদা। তাছাড়া প্রায় দেড় বছর আগেই শ্যুট হয়ে গিয়েছিল টেকোর।"