Soumitra Chatterjee Health Update: ফের অসুস্থ সৌমিত্র চ্যাটার্জি, এবার স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছেন প্রবীণ অভিনেতা
ফের অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি (Soumitra Chatterjee)। করোনাকে তাড়িয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশার খবর শুনিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে সেই আশা আশঙ্কায় বদলে গেল আচমকাই। জানা গেল, ওঁর কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি এখনও আছে। অর্থাৎ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সন্তোষজনক নয়। এটা কবে ঠিক হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। 'গ্লাসগো কোমা স্কেল' আগে ১১ পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর সূচক অবশ্য নামতে শুরু করেছে। এ জন্য একটু তন্দ্রাচ্ছন্নও থাকছেন সৌমিত্র। সুস্থ হয়েও যেন সুস্থতা সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে ছুঁতে পারছে না।
কলকাতা, ২১ অক্টোবর: ফের অসুস্থ বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চ্যাটার্জি (Soumitra Chatterjee)। করোনাকে তাড়িয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি। বেলভিউ হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশার খবর শুনিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে সেই আশা আশঙ্কায় বদলে গেল আচমকাই। জানা গেল, ওঁর কোভিড এনসেফ্যালোপ্যাথি এখনও আছে। অর্থাৎ, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা সন্তোষজনক নয়। এটা কবে ঠিক হবে এখনই বলা যাচ্ছে না। 'গ্লাসগো কোমা স্কেল' আগে ১১ পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর সূচক অবশ্য নামতে শুরু করেছে। এ জন্য একটু তন্দ্রাচ্ছন্নও থাকছেন সৌমিত্র। সুস্থ হয়েও যেন সুস্থতা সৌমিত্র চ্যাটার্জিকে ছুঁতে পারছে না। গত চব্বিশ ঘন্টায় তাঁর মস্তিষ্কে হঠাৎ স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে। এবং তার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
হাসপাতালের নিউরো মেডিক্যাল বোর্ড মনে করছে, স্টেরয়েড ইত্যাদি দেওয়ার ফলে ওঁর সাময়িক উন্নতি হয়েছিল। তবে স্টেরয়েড বন্ধ করতেই সেই উন্নতি থমকে গিয়েছে। তাই আগামী দুদিন আবার স্টেরয়েড দিয়ে দেখতে হবে। অন্যদিকে ভাল খবরও রয়েছে, বেশির ভাগ সময়ে অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে না সৌমিত্রকে এবং তাতে ওঁর অসুবিধাও হচ্ছে না। বাকি 'প্যারামিটার' ঠিকঠাক আছে। গোড়া থেকেই সৌমিত্র চ্যাটার্জির দেখভালের জন্য হাসপাতালের তরফে ৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের একটি টিম গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই রয়েছেন তিনি। আরও পড়ুন-CM Mamata Banerjee: রাজ্যে ডাক্তারি পড়ার আসন বেড়ে হল চার হাজার, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি
উল্লেখ্য, মস্তিষ্কে হঠাৎ স্নায়ুজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছে, তা বোঝা গেল গ্লাসগো কোমা স্কেলে। মূলত মস্তিষ্কে চোটের পর রোগী কতটা সাড়া দিচ্ছে তা বোঝার জন্য এই স্কেলের ব্যবহার হয়। পরবর্তী কালে অন্য কারণে মস্তিষ্কে সমস্যা দেখা দিলেও এই সূচক ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে অনেকটা সফল ভাবে মস্তিষ্কের সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা বিচার করা যায় বলে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা এখন মনে করেন।