সম্পত্তি হাতানোর লোভে মায়ের তৃতীয় স্বামী হাতে খুন হতে হয়েছিল অভিনেত্রী লায়লা খান (Laila Khan) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। ২০১২ সালের এই ঘটনাটি ঘিরে বেশ শোড়গোল পড়েছিল দেশজুড়ে। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে অভিনেত্রী এবং তাঁর পরিবাররের ৬ সদস্য রাতারাতি নিখোঁজ হওয়ার এক বছর পর জুলাই মাসে ইগরপুরীতে পুড়ে যাওয়া ফার্মহাউসের মাটির তলা থেকে উদ্ধার হয় সকলের পচগলা দেহ। এরপর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় লায়লার মা সেলিনার তৃতীয় স্বামী পারভেজ তাককে (Parvez Tak)।
১৩ বছর পর ৪০ জন সাক্ষীর সাক্ষগ্রহণ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার পারভেজকে দোষী সাব্যস্থ করে মুম্বইয়ের সেশন কোর্ট। আগামী ১৪ মে সাজা ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে আদালত। যদিও এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য পারভেজের সর্বোচ্চ সাজা চেয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত শাকির হোসেন ওয়ানি এখনও জেলবন্দি রয়েছে। পারভেজ একাধিক কেসে অভিযুক্ত মোস্ট ওয়ান্টেড শাকিরকে ফার্মহাউসের নিরাপত্তার দায়িত্বে রেখেছিল। তদন্তসূত্রে জানা যায় লায়লার কাছে শাকিরের আসল পরিচয় গোপন রেখে কাজে রেথেছিল পারভেজ। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি হত্যাকাণ্ড চলার সময় পারভেজকে সাহায্য করেছিল শাকির।
Mumbai Sessions court convicts Parvez Tak in actress Laila Khan and her family members's murder case of 2011. Court has held Parvez Tak, the father of Laila Khan, guilty of murdering Khan, her mother and siblings - a total of 6 people in February 2011. Parvez Tak was arrested in…
— ANI (@ANI) May 10, 2024
তদন্তে জানা গিয়েছিল, লায়লা বিপুল সম্পত্তি হাতানোর ষড়যন্ত্রে ৭ ফেব্রুয়ারি লায়লা ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে ফার্মহাউসে গিয়েছিল তৃতীয় সৎ বাবা। এরপর স্ত্রী সেলিনার সঙ্গে তাঁর তর্ক বাধে। তখনই একটি ভোঁতা বস্তু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করে পারভেজ। পরে পরিবারের অন্য সদস্য তাঁকে বাধা দিতে এলে শাকির এবং পারভেজ দুজনে মিলে একে একে সকলকে হত্যা করে। তারপর বাগানে দেহগুলি পুঁতে দিয়ে ফার্মহাউসে আগুন লাগিয়ে দেয়। একবছর পর ক্রাইম ব্রাঞ্চে অফিসাররা ওই পরিত্যক্ত ফার্মহাউসে তদন্ত করতে গেলে মাটি খুঁড়ে দেহগুলি উদ্ধার করা হয়।