'গুমনামী' রিভিউ: আজ মুক্তি পেয়েছে সৃজিত মুখার্জির এই ছবি, কেমন লাগল দর্শকদের?

আজ মুক্তি পেয়েছে (Release) সৃজিত মুখার্জির (Srijit Mukherji) ছবি 'গুমনামী (Gumnami)।' বহু বিতর্কের পর অবশেষে পুজোর মরশুমেই (Durga Puja) মুক্তি পেল নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে বানানো এই ছবি। কিন্তু উৎসবের মরশুমে কেমন লাগল সৃজিতের এই ছবি? হল ফিরতি দর্শকদের বক্তব্য থেকে পরিস্কার বাস্তবতা মিশে গিয়েছে চলচ্চিত্রের সঙ্গে। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের (Shree Venkatesh Films) প্রযোজনায় সৃজিতের এই ছবি ‘গুমনামী’ দেশবাসীর মনে জমে থাকা আবেগের স্তূপকে অনেকখানি নাড়িয়ে দিয়েছে।

গুমনামী। (Photo Credits: Facebook)

কলকাতা, ২ অক্টোবর: আজ মুক্তি পেয়েছে (Release) সৃজিত মুখার্জির (Srijit Mukherji) ছবি 'গুমনামী (Gumnami)।' বহু বিতর্কের পর অবশেষে পুজোর মরশুমেই (Durga Puja) মুক্তি পেল নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে বানানো এই ছবি। কিন্তু উৎসবের মরশুমে কেমন লাগল সৃজিতের এই ছবি? হল ফিরতি দর্শকদের বক্তব্য থেকে পরিস্কার বাস্তবতা মিশে গিয়েছে চলচ্চিত্রের সঙ্গে। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের (Shree Venkatesh Films) প্রযোজনায় সৃজিতের এই ছবি ‘গুমনামী’ দেশবাসীর মনে জমে থাকা আবেগের স্তূপকে অনেকখানি নাড়িয়ে দিয়েছে।

নেতাজি কি সত্যিই ১৯৪৫-এর ১৮ অগস্ট প্লেন দুর্ঘটনায় (Plane Crash)মারা গিয়েছিলেন? ছবির শুরুতেই দেখা যাচ্ছে- সুভাষ দেখা করতে গিয়েছেন মহাত্মা গাঁধীর (Mahatma Gandhi) সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে উপস্থিত নেহরুও (Jawaharlal Nehru)। গান্ধীজি অহিংস নীতিতেই স্থির থাকতে চান। কিন্তু সুভাষ মনে করেন সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া স্বাধীনতা সম্ভব নয়। তাই তিনি বিদায় নিতে চান। এরপর কাহিনি মোড় নিয়ে এসে দাঁড়ায় রিপোর্টার চন্দ্রচূড়ের (Chandrachur) কাছে। নেতাজির রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে একটা অ্যাসাইনমেন্ট (Assignment) দেওয়া হয় তাকে। চন্দ্রচূড় অন্যদের মতো নেতাজি আবেগে ভেসে যাওয়া মানুষ নন। কাজের চ্যালেঞ্জ তাঁকে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য করে সেই অ্যাসাইনমেন্টে। চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে সঙ্গেই এবার দর্শক এগিয়ে চলেছে এক গভীর রহস্যময় ছায়াবৃত পথ ধরে। যেখানে প্রবল এক পুরুষ যাবতীয় অসম্ভবকে নস্যাৎ করে এগিয়ে চলেছেন স্বাধীনতা অর্জনের দিকে। কখনও মিত্র শক্তির সঙ্গে বৈঠক, তো কখনও আজাদ হিন্দ ফৌজ (Azad Hind Fouz)। অবশেষে তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু অথবা মৃত্যু নয়! তাহলে ফৈজাবাদে (Faizabad) দেখা ভগবানজি আসলে কে? নেতাজি কি সত্যিই রাশিয়ায় (Russia) পালিয়ে গিয়েছিলেন? তাঁর মৃত্যু সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সবই কূটনৈতিক চাল? সাংবাদিক চন্দ্রচূড় দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে চলল। পৌঁছতেই হবে এন্ডিং পয়েন্ট। নেতাজি কি সত্যিই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন? নেতাজির মৃত্যু বা অন্তর্ধান নিয়ে যে রহস্য পুঞ্জীভূত হয়েছিল, তার সমাধানে বিভিন্ন সময়ে গঠন করা হয়েছিল তিনটি কমিশন— শাহনওয়াজ(১৯৫৬), খোসলা (১৯৭০) এবং মুখার্জি(১৯৯৯)। এই তিনটি কমিশনের তথ্য এ ছবিতে বারবার ঘুরেফিরে এসেছে। দর্শক বুঁদ হয়ে থাকে সেই রহস্যে। টানটান উত্তেজনায় শিরদাঁড়া যেন স্থির। আরও পড়ুন- Koena Mitra: প্লাস্টিক সার্জারিতেই দেখতে খারাপ হয়ে যান? কোয়েনা মিত্র যা বললেন

ছবির কাহিনী এবং সংলাপ রচনা করেছেন সৃজিত নিজেই। কখনও সাদা-কালো, কখনও বা রঙিন। নেতাজির ভূমিকায় প্রসেনজিত (Prasenjit Chatterjee)। চন্দ্রচূড়ের ভূমিকায় অনির্বাণ (anirban Bhattacharyya)। সঙ্গীত পরিচালক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত (Indradip Dasgupta)। ছবিতে গান গেয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়, সোনু নিগম এবং ঈশান মিত্ররা।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now