Salman Khan (Photo Credit: Instagram)

নয়াদিল্লি:  বাবা সিদ্দিকি হত্যার ছয় দিন পর ফের প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন অভিনেতা সলমন খান (Actor Salman Khan)। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে মুম্বই ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমে এই হুমকি পাঠানো হয়েছে। ৫ কোটি টাকা দাবি করে বলা হয়েছে, টাকা না দিলে সলমন খানের হাল বাবা সিদ্দিকির চেয়েও খারাপ হবে। মুম্বই পুলিশ বার্তা পাঠানোর ব্যক্তিকে ট্র্যাক করতে কাজ শুরু করেছে। সলমন ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকীকে ১২ অক্টোবর খুন করা হয়েছিল। হুমকির পর সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। দেখুন-

এর আগে কতবার হুমকি পেয়েছেন সলমন?

২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে দুই অজানা লোক বেড়ার তার ভেঙ্গে সলমন খানের ফার্ম হাউসে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে দুজনেই নিজেদের সলমনের ভক্ত বলে দাবি করেন। তাদের কাছ থেকে জাল আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়।তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে এফআইআরও নথিভুক্ত করা হয়।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ১৬ বছর বয়সী নাবালক মুম্বই পুলিশকে ফোন করে সলমন খানকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। পুলিশ তাকে আটক করে। মুম্বই পুলিশকে সে জানায় তার নাম রকি ভাই। নাবালক জানিয়েছিল সে যোধপুরের বাসিন্দা, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল সলমনকে হত্যা করবে।

২০২৩ সালের মার্চ মাসে যোধপুরের বাসিন্দা ঢাকাদ্রাম সলমনের অফিসিয়াল মেইলে ৩টি ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন। তাতে লেখা ছিল, সলমন খান তোমার পরের নম্বর, যোধপুর এলেই তোমাকে সিধু মুসওয়ালার মতো হত্যা করা হবে।

২০২২ সালের জুন মাসে সলমনের বাবা সেলিম খান যখন মর্নিং ওয়াক সেরে বাড়ি ফিরে আসেন, তখন তিনি একটি বেনামি চিঠি পান। চিঠিতে তাঁকে এবং সলমনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বান্দ্রা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সলমনের সঙ্গে লরেন্সের শত্রুতার কারণ

১৯৯৮ সালে 'হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শুটিং চলাকালীন রাজস্থানের জঙ্গলে কালো হরিণ শিকার করার অভিযোগ রয়েছে সলমনের বিরুদ্ধে। সলমন ছাড়াও অভিযুক্ত ছিলেন সাইফ আলি খান, সোনালি বেন্দ্রে, টাবু এবং নীলম কোঠারি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল। এর জন্য যোধপুর আদালত সলমনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও দিয়েছিল, তবে এই মামলায় সলমন জামিন পেয়েছিলেন। এ কারণে সলমন খানকে হত্যা করতে চায় গ্যাংস্টার লরেন্স। এমনকি আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে তিনি সলমনকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। সলমন খানের বাড়িতে গুলি চালানোর পরিকল্পনার জন্য দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ লরেন্সের অনেক সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।