খুব বেশি দিন উন্নয়নশীল দেশের সুবিধা নয়, ভারত-চিনকে হুমকি দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

এখন বিশ্ব বাণিজ্যে অবদান রাখার ক্ষমতা ধরে ভারত, তারপরেও কি না ডব্লিউটিও-র সুবিধা নিচ্ছে। এটা আর চলতে দেওয়া যাবে না। ভারত ও চিন এখন আর তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ নয়। তাহলে তো এই দুটি দেশের বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন(WTO)-এর সুযোগ নেওয়া উচিত নয়। এবার এসব বন্ধ করতে হবে।

মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প(Photo Credit: getty images)

পেনসিলভেনিয়া, ১৪ আগস্ট: এখন বিশ্ব বাণিজ্যে অবদান রাখার ক্ষমতা ধরে ভারত, তারপরেও কি না ডব্লিউটিও-র সুবিধা নিচ্ছে। এটা আর চলতে দেওয়া যাবে না। ভারত ও চিন এখন আর তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ নয়। তাহলে তো এই দুটি দেশের বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন(WTO)-এর সুযোগ নেওয়া উচিত নয়। এবার এসব বন্ধ করতে হবে। মঙ্গলবার পেনসিলভেনিয়ার এক সভা থেকে এভাবেই ভারত ও চিনের বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত ও চিনে ঢোকা মার্কিন পণ্যাদির উপর দুই দেশই যে প্রচুর পরিমাণে শুল্ক চাপায়, বরাবরই তার বিরোধিতা করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আরও পড়ুন-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাক ভূখণ্ড নয়, টুইটারে পাকিস্তানকেই ঠুকলেন ইমাম তাহিদি

ইতিমধ্যেই একারণে ভারত ট্রাম্পের কাছ থেকে ‘শুল্ক চাপানোর রাজা’ খেতাবও পেয়েছে। আর চিনের (China)বিরুদ্ধে তো ইতিমধ্যেই বাণিজ্য যুদ্ধে নেমে পড়েছে ওয়াশিংটন। ভারতে মার্কিন পণ্য নিয়ে শান্তিতে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারেন না সেদেশের ব্যবসায়ীরা। এত শুল্কের চাপ, একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয় চিন, ও তুরস্কের মতো দেশেও। এখনও এই তিনটি দেশকে উন্নশীল দেশের তকমা দিয়ে রেখেছে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠন। ভারতের যা অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তাতে এই তকমা কেন সে এখনও ভোগ করবে, তানিয়ে রীতিমতো উষ্মা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (US President Donald Trump) এমনকী, বিষয়টি নিয়ে তিনি যে বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনকে জেরার মুখে ফেলবেন তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

গত জুলাইতেই এই নিয়ে ডব্লিউটিও-কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর মূল অভিযোগের কারণ অবাধ শুল্ক। হ্যাঁ মার্কিন পণ ব্যবসায়ীরা ভারতে ব্যবসা করেত এসে নাকি শুল্ক দিয়েই ফতুর হয়ে যান। অভিযোগ, ডব্লিউডিও-র উন্নয়নশীল দেশের তকমাকে ব্যবহার করে এই অবাধ শুল্ক চাপিয়ে চলেছে ভারত। এর জেরে ভারতে ব্যবসা করতে এসে ফতুর হচ্ছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা। এই বিষয়ে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিরা যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেন তা দেখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। একমাত্র বাণিজ্য প্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপেই এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।