UK-Rwanda Deportation: দ্রুতই চালু হবে প্রথম ব্রিটেন থেকে রুয়ান্ডা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিমান পরিষেবা

সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া এবং মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ করার কারণেই ২০১৬ সালে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসে কিন্তু এরপরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর এখনও সেভাবে সমাধা হয়নি

Rwanda President & UK PM (Photo Credit: @misuo_victor/ X)

লন্ডনঃ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক (Rishi Sunak) এবং রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামে (Paul Kagame) এই বসন্তেই রুয়ান্ডার আশ্রয়প্রার্থীদের ব্রিটেনের পরিকল্পনার অধীনে ফের দেশে পাঠানোর প্রথম ফ্লাইটের অপেক্ষায় রয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর সুনাকের কার্যালয় থেকে বলা হয়, 'উভয় নেতাই বসন্তে রুয়ান্ডায় ফ্লাইট ছাড়ার অপেক্ষায়।' সুনাক চান প্রতি বছর বিনা অনুমতিতে ব্রিটেনে আসা হাজার হাজার আশ্রয়প্রার্থীকে পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে স্থানান্তরিত করতে। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে এখনও পর্যন্ত কাউকে সেখানে পাঠানো যায়নি এবং প্রয়োজনে ব্রিটেন সরকারকে প্রথমে নতুন আইন পাস করতে হবে। সুনাক আশা করছেন, এর ফলে রুয়ান্ডায় নির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করার পথ প্রশস্ত হবে সরকারের। সুনাক এর আগে বলেন যে, এই বছরের দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাশিত জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রথম ফ্লাইটে অভিবাসীরা ফেরত যাবেন বলে আশা করছেন। এই পরিকল্পনা আইনের বিরুদ্ধে আলোচনা করতে ১৫ এপ্রিল ব্রিটিশ সংসদে চর্চা হবে। Simon Harris Ireland's Youngest PM: আয়ারল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসকে শুভেচ্ছাবার্তা নমোর (দেখুন টুইট)

সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়া এবং মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ করার কারণেই ২০১৬ সালে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসে কিন্তু এরপরও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর এখনও সেভাবে সমাধা হয়নি। এর আগে কনজারভেটিভ সরকার বার্ষিক এক লক্ষের নিচে নেট মাইগ্রেশন সীমাবদ্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ৭ লক্ষ ৪৫ হাজারের রেকর্ড ছুঁয়েছে। যদিও তার কারণ মূলত আংশিকভাবে ইউক্রেন এবং হংকং থেকে আগতদের জন্য নতুন ভিসা রুট। প্রতিক্রিয়া হিসাবে, সুনাকের সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে যা এই সংখ্যা ৩ লক্ষে নামিয়ে আনবে। এদিকে, ২০২২ সালে রেকর্ড ৪৫ হাজার ৭৭৫ জন অভিবাসী আসার পর গত বছর ২৯ হাজারেরও বেশি লোককে বিনা অনুমতিতে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলীয় সৈকতে ছোট নৌকায় করে আসতে দেখা গেছে।

২০২২ সালের এপ্রিলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অধীনে রুয়ান্ডা স্কিমটি অভিবাসীদের অবৈধভাবে ব্রিটেনে আসা থেকে বিরত রাখতে এবং মানব পাচারকারীদের ব্যবসায়িক মডেল ভেঙে দেওয়ার জন্য বানানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারির পর যারা অবৈধভাবে ব্রিটেনে এসেছেন, তাদের চার হাজার মাইল (৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার) দূরে রুয়ান্ডায় পাঠানো হবে। তবে ২০২২ সালের জুনে প্রথম ডিপোর্টেশন ফ্লাইটটি ইউরোপীয় বিচারকদের দ্বারা আটকে দেওয়া হয়েছিল। কোনো মানুষকে দেশ থেকে ফেরত না পাঠানো সত্ত্বেও ব্রিটেন এরই মধ্যে রুয়ান্ডাকে ২৪০ মিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে। ব্রিটেন হাজার হাজার অভিবাসী পাঠানোর আশা করলেও এই মুহূর্তে রুয়ান্ডার মাত্র কয়েকশ অভিবাসী গ্রহণের সক্ষমতা রয়েছে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now