Los Angeles: এবার লস অ্যাঞ্জেলসের কোকাকোলার বোতল তৈরির কারখানায় ২ কর্মী কোভিড-১৯ পজিটিভ

লস অ্যাঞ্জেলসের শহরতলিতে কোকাকোলার বোতল তৈরির কারখানায় (Coca-Cola Bottling) দুজন কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ। করোনার জীবাণু মিলতেই সংস্থার তরফে প্রত্যেক কর্মীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। যাতে বাকি কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কোকাকোলার তরফে জানান হয়েছে আক্রান্ত দুই কর্মী আপাতত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই আছেন। ওই দুজনের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। একবার চিহ্নিত হয়ে গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে শুধু আক্রান্তের খবর দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কোকাকোলা। সংস্থার তরফে কারাখানাকে জীবাণুমুক্ত করণের কাজও চলেছে।

প্রতীকী ছবি(Photo Credits: ANI)

লস অ্যাঞ্জেলস, ৩ এপ্রিল: লস অ্যাঞ্জেলসের শহরতলিতে কোকাকোলার বোতল তৈরির  কারখানায় (Coca-Cola Bottling) দুজন কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ। করোনার জীবাণু মিলতেই সংস্থার তরফে প্রত্যেক কর্মীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। যাতে বাকি কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কোকাকোলার তরফে জানান হয়েছে আক্রান্ত দুই কর্মী আপাতত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই আছেন। ওই দুজনের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। একবার চিহ্নিত হয়ে গেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে শুধু আক্রান্তের খবর দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি কোকাকোলা। সংস্থার তরফে কারাখানাকে জীবাণুমুক্ত করণের কাজও চলেছে।

লস অ্যাঞ্জলেসের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে মারণ ভাইরাসের বলি ৭৮ জন। শুধু গতকালই সেখানে মারা গিয়েছেন ১৩ জন। একইভাবে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩৪। মারণ ভাইরাস করোনার থাবায় (Coronavirus cases) গোটা বিশ্ব। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। এবার সেই মিছিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ। আশার কথা একটাই, এত কিছুর মধ্যেও এই মারণরোগ থেকে বেঁচে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দু’লক্ষের কিছু বেশি মানুষ। কিন্তু এই সংখ্যাটা যেন ভাইরাসের মারণ তাণ্ডবের কাছে নেহাতই ছোট। কেবল গত ২৪ ঘণ্টাতেই আরও প্রায় ৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা একদিনে বেড়েছে ২০ হাজারের বেশি। মোট ২ লক্ষ ২৬ হাজার জন ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন। বেশিরভাগ দেশে মৃতদেহ সৎকারের পদ্ধতিটাই উল্টে গেছে। সার দিয়ে জমছে দেহ। আরও পড়ুন- Coronavirus cases top 1 million: করোনায় মৃত্যু মিছিল ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল, বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ১০ লক্ষ

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে চিনের উহান শহর থেকে এই অসুখের প্রাদুর্ভাব ঘটলেও, ক্রমেই একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। চিনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরে এই অসুখকে গত ১১ মার্চ বিশ্বজুড়ে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কবে য়ে এ বিদায় নেবে কেউ জানে না। তবে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর পদধ্বনি থেকে রেহাই চাইছে মানুষ।