BREAKING: সমুদ্র উপকূলে আবার উড়ে এল কিমের ব্যালিস্টিক মিসাইল, চিন্তার ভাঁজ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনের
উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে মিসাইলগুলো ছোড়া হয়। এরইমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দীপ উলেউংদোতে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ না হলে কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। তাই মহড়ার শেষ দিনে উড়ে এসেছিল তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে আরো সাতটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে এল দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি সামুদ্রিক সীমান্তের দক্ষিণ অংশে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে , উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে মিসাইলগুলো ছোড়া হয়। এরইমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দীপ উলেউংদোতে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
কিছুদিন আগেই শুরু হওয়া যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়াটি শেষ হবে শুক্রবার। ‘ভিজিল্যান্ট স্টর্ম’ নামে যৌথ মহড়ায় দুই দেশের শত শত যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সোমবার থেকে বিরামহীনভাবে এগুলো শক্তি প্রদর্শন করছে। সেই মহড়া শেষ হবার আগেই এই হামলা নিয়ে অখুশি জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের অপারেশন ডিরেক্টর কাং শিন-চুল, তিনি বলেছেন- "উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ খুবই অস্বাভাবিক এবং অগ্রহণযোগ্য কারণ এটি সামুদ্রিক সীমান্তের দক্ষিণে দক্ষিণ কোরিয়ার আঞ্চলিক জলসীমার কাছাকাছি পড়েছিল"
চলতি বছরে মিসাইল নিক্ষেপের তৎপরতা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। এ পর্যন্ত অন্তত ৪০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে তাঁরা। শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়া সংলগ্ন এলাকায় উত্তর কোরিয়া বিভিন্ন ধরনের অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি