Earthquake: ভয়াবহ স্মৃতি ফিরিয়ে কাকভোরে কাঁপল নেপাল, কম্পনের মাত্রা ৫.৪
ধারবাহিকতা বজায় রেখে ফের ভূমিকম্প। এবার ঘটনাস্থল নেপাল। বুধবার ভোর পাঁচটা বেজে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডে জোরদার কম্পন অনুভূত হল নেপালে। অনেকেরই তখন ভাল করে ঘুম কাটেনি। আধোঘুমের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে ধড়মড়িয়ে উঠে বসেন প্রায় সকলে। তাড়া করে ফের ভূমিকম্পের ভয়াল গ্রাস। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টারের রিখটার স্কেলে ৫.৪ কম্পাঙ্কের তীব্রতা ধরা পড়েছে । যদিও, ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টার সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরে পূর্ব নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে। ভোর ৫টা বেজে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে এই কম্পন অনুভূত হয়।
কাঠমান্ডু, ১৬ সেপ্টেম্বরে: ধারবাহিকতা বজায় রেখে ফের ভূমিকম্প। এবার ঘটনাস্থল নেপাল। বুধবার ভোর পাঁচটা বেজে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডে জোরদার কম্পন অনুভূত হল নেপালে। অনেকেরই তখন ভাল করে ঘুম কাটেনি। আধোঘুমের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডের কম্পনে ধড়মড়িয়ে উঠে বসেন প্রায় সকলে। তাড়া করে ফের ভূমিকম্পের ভয়াল গ্রাস। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টারের রিখটার স্কেলে ৫.৪ কম্পাঙ্কের তীব্রতা ধরা পড়েছে । যদিও, ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ন্যাশনাল সিসমোলজি সেন্টার সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন ভোরে পূর্ব নেপালে ভূমিকম্প হয়েছে। ভোর ৫টা বেজে ৪ মিনিট ৭ সেকেন্ডে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বে এই কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের নাম রামচে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪।
নেপালে ভূমিকম্প
উপকেন্দ্রের খুব কাছেই নেপাল চীন সীমান্তের তিব্বত এলাকাটি রয়েছে। গত কয়েকমাস ধরে ভারত একের পর এক মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েই চলেছে। এর জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি। প্রাণহানি বা হতাহতেরও খবর নেই। তাই কম্পন অনুভূত হলেও মানুষ তানিয়ে বিশেষ চিন্তিত নয কিন্তু ঘটনাস্থল নেপাল হলে চিন্তা তো হবেই। কেননা ভয়াবহ স্মৃতিকে তো আর করোনা ভয়ে থামিয়ে থাকা সম্ভব নয়। তাই আজকের কম্পনের জেরে করোনা সংকটের মধ্যেও ২০১৫-র ২৫ এপ্রিলের ভয়াবহ স্মৃতি ফিরল নেপালে। যদিও পাঁচ বছর আগের সেই ভূমিকম্প ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী। রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৭.৮। গোটা নেপালকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল সেই ভূমিকম্প। দুর্যোগে লন্ডভন্ড অবস্থা হয়েছিল দেশটির। ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রায় ৯ হাজার মানুষের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আহতের সংখ্যা ছিল ২২ হাজার। এটা যদিও বেসরকারি হিসেব। সরকারি হিসেবও হতাহতের সংখ্যা খুব কম নয়। শুধুমাত্র সরকারি হিসেবেই সেই কম্পনে মৃত্যু হয়েছিল ৭৭৪৯ জনের। আহত ১৭ হাজারের বেশি। আরও পড়ুন-Ajit Doval Walks out From SCO Meeting: ভারতীয় ভূখণ্ডের কিছু অংশ পাকিস্তান নিজেদের ম্যাপে প্রদর্শন করায় তার বিরোধিতা করে এসসিওর বৈঠক ছাড়লেন অজিত ডোভাল
তাই বুধবার কাকভোরে মাটি কেঁপে উঠতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন জেগে যাওয়া নেপাল। এক লহমায় মনে উঁকি মেরে যায় ২০১৫-র ভয়াবহ স্মৃতি। বেশ কিছু মানুষ বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও পর্যন্ত এদিনের ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা মৃত্যুর খবর সামনে আসেনি। সে যাইহোক না কেন দগদগে ঘা শুকিয়ে স্বাভাবিক হতে যে নেপালের কতদিন লাগবে কেউ জানে না। মাটি কাঁপলেই তাই সবহারানোর ভ্যথা ফের চিনচিন করে ওঠে।