Bhatpara Clash: বিজেপি-র মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের মাঝে পুলিশের দিকে উড়ে এল ইট-পাটকেল, কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে থামল হিংসা

ভাটপাড়ার অশান্তি আরও খারাপ অবস্থায় চলে গেল। বিজেপি-র মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের মাঝেই উত্তেজনা ছড়াল। থমথমে উত্তেজনার মাঝে পুলিশকে আক্রমণ করে জনতা।

অশান্ত ভাটপাড়া। (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ২১ জুন: ভাটপাড়ার অশান্তি আরও খারাপ অবস্থায় চলে গেল। বিজেপি-র মৃতদেহ নিয়ে মিছিলের মাঝেই উত্তেজনা ছড়াল। থমথমে উত্তেজনার মাঝে পুলিশকে আক্রমণ করে জনতা। গতকাল সংঘর্ষে নিহত দু'জনের দেহ নিয়ে আজ, শুক্রবার বিকেলে ৫টা নাগাদ শোক মিছিল বার করে বিজেপি। মিছিলে শতাধিক মানুষ ছিলেন। মৃতদেহ মাঝ রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি।

পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে তারা। এর পরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ইট-পাটকেল উড়ে এল কমব্যাট ফোর্স ও র‍্যাফকে লক্ষ্য করে। জওয়ানদের দিতে লাঠি-রড নিয়ে তেড়ে গেল জনতা। কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনল পুলিশ। আরও পড়ুন- রাজ্যপাল কী বললেন

উত্তেজিত জনতাকে থামাতে অর্জুন সিংহ ঘটনাস্থলে যান। বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি। এর পরই শোক মিছিল ধীরে ধীরে কাছারি রোড থেকে ভাটপাড়া হয়ে শ্মশানের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশের দিকে তেড়ে যান কমব্যাট ফোর্স ও র‍্যাফের জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে উন্মক্ত জনতা। লাঠি-রড বেরিয়ে আসেন তাঁরা। পিছু হটে পুলিশ। পড়ে যান র‍্যাফের কয়েকজন জওয়ান। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গতকালও ভাটপাড়ায় থানা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিশের সামনেই দুই দুষ্কৃতীদলের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়ে যায়, বোমাবাজি, গুলি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। এর জেরে মৃত্যু হয়েছে দুজনের, আহত পাঁচজন। যদিও বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh)দাবি পুলিশের গুলিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। তবে উদ্বোধন স্থগিত রেখেই থানার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাঝপথ থেকেই কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন ডিজি রবীন্দ্র। ইতিমধ্যেই বারাকপুরকে শান্ত করতে কমিশনার তন্ময় রায়চৌধুরিকে সরিয়ে সেখানে মনোজ বর্মাকে আনা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে এই পরিস্থিতি যাতে নিয়্ন্ত্রণে আসে তার কড়া নির্দেশ দিএছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

সপ্তাহ খানেক আগেই রাজনৈতিক অশান্তিতে উত্তাল হয়ে ওটে সন্দেশখালি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বসিরাহাট মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেই এই বন্দোবস্ত। এর আগে ২০১৭-তে যখন বসিরহাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তখনও অনির্দিষ্ট কালের জন্য বসিরহাট বারাসত সাব বিভিশনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এদিকে সন্দেশখালির ন্যাজাটের সাতগাছি এলাকায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে তিন তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হলেও নিখোঁজ হন ছয় তৃণমূল কর্মী। গোটা ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে শাসকদল। একইভাবে পাঁচ কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now