RG Kar Hospital Scam: বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট, সোনার ব্যবসায় বিনিয়োগ সন্দীপ ঘোষের, যোগসূত্র খুঁজে পেল ইডি
আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলা নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এই তদন্তে উঠে আসছে বাংলাদেশেরে যোগ।
আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Medical College and Hospital) দুর্নীতি মামলা নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আর এই তদন্তে উঠে আসছে বাংলাদেশেরে যোগ। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষ এখান থেকে কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশে পাচার করতেন এবং সেই টাকা খাটানো হত রিয়েল এস্টেট ও সোনার ব্যবসায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, হাওয়ালা রুটের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা হত। ইডি সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ী স্বপন সাহা নামে এক ব্যক্তির সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৭ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়ছিল। সেই সোনার উৎস খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশের যোগসূত্র মেলে। আর তারপরেই এই বিষয়ে তদন্তে করে জানা যায়, আরজি করের ঘটনার মাসখানেক আগে থেকে সন্দীপে সঙ্গে দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর যোগাযোগ শুরু হয়।
শুধু তাই নয়, এই দুই ব্যবসায়ী মাসখানেক আগে একাধিকবার কলকাতা এসেছে এবং হাসপাতালে সুপারের ঘরে গিয়ে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠকও করেছিল। এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্টে দাখিল করা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে দুই বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম নিয়ে বৈঠক ও চুক্তি হয়ছিল। যদিও এই চুক্তি সম্বন্ধে এখনই কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না ইডি আধিকারিকরা। তবে ইতিমধ্যেই ইডির তরফ থেকে সন্দীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও আর্থিক সম্পত্তির বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার বুকে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, রিসোর্টের মতো বাংলো সহ তাঁর একাধিক সম্পত্তি ইতিমধ্যেই ইডির রেডারে চলে এসেছে।
প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘনিষ্ঠ স্বপনের বাড়িতে তল্লাশি করে যে সোনা উদ্ধার হয় তার সঠিক উৎস দিতে পারেননি স্বপন। এমনকী সেই ৭ কোটি সোনার কোনও রশিদ বা নথিপত্র কিছুই ছিল না। ফলে ইউির প্রাথমিক অনুমান দুবাই থেকে বাংলাদেশ হয়ে এই সোনা হাওয়ালা রুট দিয়ে ভারতে পাচার করা হত স্বপন সাহার মাধ্যমে।