Protest Against Green Destruction: খেলব কোথায়? বুড়ো কদমগাছকে ঘিরে কান্নার রোল খুদে পড়ুয়াদের

সবুজ ধ্বংসের প্রতিবাদে এবার পথে নামল বাচ্চারা।

এই সেই কদমগাছ(Photo Credit:Social Media)

পূর্ব বর্ধমান, ২৮জুন: নগরায়নের জন্য প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে সবুজ (Green Destruction)। একটু একটু করে গোটা পৃথিবী দুষণের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়ছে। রাজধানী দিল্লিতে কুয়াশা নয় দূষণের মাত্রায় অন্ধকার দেখে সেখানকার জনজীবন। রাস্তায় যানবাহন চলা বন্ধ হয়ে যায়, বিমান ওঠানামাও স্থগিত থাকে। স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালতেও কাজকর্ম শিকেয় ওঠে। তবুও নগরায়নের এতই আকর্ষণে যে গাছা কাটা চলতেই থাকে। এবার প্রিয় খেলাঘর বাঁচাতে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় নামল একদল খুদে পড়ুয়া। স্কুল লাগোয়া কদম গাছ ঘিরে উঠল কান্নার রোল। অভিনব প্রতিবাদে হতভম্ব গোটা আউশগ্রাম (Aushgram)। আরও পড়ুন- West Bengal Monsoon: এতদিনে দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় মৌসুমী বায়ু, বৃষ্টি এল বলে

পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা পূর্বপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, (Purbopara Primary School) আউশগ্রাম এক নম্বরের বিডিও অফিসটিও ওই স্কুল লাগোয়া এলাকাতেই। সম্প্রতি বিডিও অফিসের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য অফিসের চারদিকে পাঁচিল তৈরির সিদ্ধান্ত নেন বিডিও চিত্তজিৎ বসু। তবে বাদ সাধে প্রাচীন কদম গাছটি। অফিস চত্বরেই রয়েছে সেই গাছ। এখন কদম গাছ না কাটলে কোনওভাবেই পাঁচিল তোলা সম্ভব নয়। তাই গাছ কাটতে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। এদিকে কানাঘুষো সেই খবর জানতে পেরেছে লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। জানতে পেরেই গাছের গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে বোর্ড তাতে লেখা, আমাকে মেরো না আমারও প্রাণ আছে। বলা বাহুল্য, শুক্রবার সকালে গাছ কাটার তোরজোর শুরু হতেই গাছ আঁকড়ে বসে পড়ে খুদে পড়ুয়ার দল, ওঠে কান্নার রোল। এই গাছ কাটলে তারা খেলবে কোথায়? এত পাখি যে সারাদিন ডাকে, সন্ধ্যায় কিচিরমিচির করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়, তারা কোথায় থাকবে? কাঠবিড়ালিরা কোথায় যাবে? কাঁদতে কাঁদতে এসবই জানতে চায় খুদে পড়ুয়ার দল। কিন্তু উত্তর মেলে না।গাছ কাটতে  এসে  বিপাকে পড়ে যান ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা। খবর যায় ব্লক অফিসে, বিডিও চিত্তজিৎ বসু সব শুনে বেশ বিব্রত। তিনি জানান, এমন প্রতিরোধ আসতে পারে বোঝেননি। তাই স্কুলের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

অন্যদিকে স্কুলের প্রবেশদ্বার লাগোয়া কদম গাছ কাটা পড়বে শুনে মন খারাপ হয়েছিল শিক্ষকদেরও।  তবে খুদে পড়ুয়ারা এর বিরুদ্ধে এমন জোরাল প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বুঝতে পারেননি। শিক্ষক বিমল মণ্ডল নিজেও চান না এই মহীরূহ কাটা পড়ুক। এমনিই তো নগরায়নের চাপে প্রাচীন গাছের আর দেখা মেলে না। এই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। তখন আশপাশে অনেক গাছ ছিল। কিন্তু কালের নিয়মে গুসকরা শহর হয়ে উঠলে গাছেদের সংখ্যা কমতে থাকে। এখন সবেধন নীলমণি হিসেবে টিকে আছে এই বৃদ্ধ কদম গাছে। এতে কোপ পড়লে শুধু পড়ুয়ারা নয়, পরিবেশও অনাথ হয়ে যাবে।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now