Chaos At Shyamnagar Mill: শ্যামনগরের জুটমিল বন্ধের নোটিস! কর্মহীন ৩ হাজার শ্রমিক

কারখানা বন্ধ করার নোটিসকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিল (Shyamnagar Mill) চত্বর। বকেয়া না মিটিয়ে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকালে মিলের গেটে ‘সাসপেনসন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দিলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তাঁদেরই একটি অংশ মিলের মধ্যে ঢুকে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান মিলের অফিসে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মিলের দু’টি গাড়িতেও। ওই কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন অন্তত ৩ হাজার শ্রমিক (Labour)।

শ্যামনগরের জুটমিল বন্ধের নোটিস (Photo Credits: PTI)

শ্যামনগর, ২১ ফেব্রুয়ারি: কারখানা বন্ধ করার নোটিসকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিল (Shyamnagar Mill) চত্বর। বকেয়া না মিটিয়ে কর্তৃপক্ষ শুক্রবার সকালে মিলের গেটে ‘সাসপেনসন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝুলিয়ে দিলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। তাঁদেরই একটি অংশ মিলের মধ্যে ঢুকে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান মিলের অফিসে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় মিলের দু’টি গাড়িতেও। ওই কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন অন্তত ৩ হাজার শ্রমিক (Labour)।

আগরওয়াল গোষ্ঠীর ওয়েভারলি জুট মিলের পত্তন ২০১১ সালে। এদিন শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজে যোগ দিতে এসে তাঁরা দেখেন যে, কারখানার গেট বন্ধ (Gate Closed)। বাইরে ঝুলছে কাজ বন্ধের নোটিস। সেখানে লেখা অর্থনৈতিক মন্দার কারণেই কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। যদিও কর্মীদের অভিযোগ, শ্রমিকদের বকেয়া ফাঁকি দিতেই কর্তৃপক্ষের এটা একটা চাল। এ দিন সকাল থেকেই শ্রমিকদের জমায়েত বাড়তে থাকে মিলের গেটের সামনে। প্রথমে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এর মধ্যেই তাঁদের একটি অংশ জোর করে মিলের গেট খুলে ভিতরে চলে যান। অভিযোগ, ওই শ্রমিকরা মিলের মধ্যে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। শ্রমিকদের অন্য একটি অংশ ততক্ষণে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন মিলের মধ্যে থাকা দু’টি গাড়িতে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জগদ্দল থানার বিশাল বাহিনী। তারা উত্তেজিত শ্রমিকদের মিল চত্বরের বাইরে বার করে দেয়। শ্রমিকরা ঘোষপাড়া রোডে বিক্ষোভ দেখান এবং প্রায় ১ ঘণ্টা তাঁরা পথ অবরোধ করে রাখেন। পুলিশের মধ্যস্থতায় সেই অবরোধ উঠলেও এ দিন দুপুর পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান কাজ হারানো শ্রমিকরা। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ থেকেই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ। শ্রমিকরা তখনই আঁচ করেন যে, কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ করে দিতে পারেন। তাই সেই সময়েই আমরা বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানাই।’’ বৃহস্পতিবার সেই বকেয়া মেটানোর কথা ছিল কর্তৃপক্ষের। আরও পড়ুন: Darjeeling Municipal Election: দার্জিলিং পৌরসভা নির্বাচনে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী ওই শ্রমিকের কথায়, ‘‘কিন্তু, কর্তৃপক্ষ সেই টাকা বৃহস্পতিবার না মিটিয়ে শুক্রবার সকালে কাজ বন্ধের নোটিস (Notice) ঝুলিয়ে দেয়।’’তবে, এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কোম্পানির ক্লাইভ রো-য়ের অফিসে যোগাযোগ করা হলেও গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেতাদের তরফে কেউ কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি।