জাগুয়ার কাণ্ডের ৩২ দিনের মাথায় আরসালান ভাইদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ পুলিশের
গত ১৬ আগস্ট কলকাতার রাজপথে জাগুয়ারের (jaguar case) ধাক্কায় প্রাণ হারান দুই বাংলাদেশি নাগরিক। মোটর ভেহিকেল আইন ভেঙে জাগুয়ারটি ধাক্কা মেরেছিল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মার্সিডিজে। সেই সময় জাগুয়ারের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এদিকে মার্সিডিজের সামনেই দাঁড়িয়ছিলেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। এই ঘটনায় তাঁরা দুজনেই প্রাণ হারান। বিপদ বুঝে গাড়ি ফেলে রাতে বেপাত্তা হয়ে যান চালক রাঘিব পারভেজ ()। পরের দিন সকালে সোজা দুবাইয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মামা মহম্মদ হামজা রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করেছে। ঘটনার ৩২ দিনের মাথায় সেই মামলার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা, ১৮ সেপ্টেম্বর: গত ১৬ আগস্ট কলকাতার রাজপথে জাগুয়ারের (jaguar case) ধাক্কায় প্রাণ হারান দুই বাংলাদেশি নাগরিক। মোটর ভেহিকেল আইন ভেঙে জাগুয়ারটি ধাক্কা মেরেছিল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মার্সিডিজে। সেই সময় জাগুয়ারের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এদিকে মার্সিডিজের সামনেই দাঁড়িয়ছিলেন দুই বাংলাদেশি নাগরিক। এই ঘটনায় তাঁরা দুজনেই প্রাণ হারান। বিপদ বুঝে গাড়ি ফেলে রাতে বেপাত্তা হয়ে যান চালক রাঘিব পারভেজ ()। পরের দিন সকালে সোজা দুবাইয়ে পালিয়ে যান তিনি। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মামা মহম্মদ হামজা রাঘিবকে পালাতে সাহায্য করেছে। ঘটনার ৩২ দিনের মাথায় সেই মামলার চার্জশিট পেশ করল কলকাতা পুলিশ।
তদন্তে পুলিশকে ভুল পথে চালিত করতে কম চেষ্টা করেনি আরসালান পরিবার, তবে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করতে পুলিশ বেশি সময় নেয়নি। রাঘিবকে দুবাই থেকে ফিরে আসতে বাধ্য করা হয়। সে ফিরতেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনের ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছিল তা সিসিটিভি ফুটেজেই স্পষ্ট হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর তদন্তে নেমে জাগুয়ারটি শহরের নামী বিরিয়ানি চেন আরসালানের মালিকের। এর পরই দুপুরে আরসালান পারভেজ গাড়ির চালক হিসাবে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পরের দিন আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে পায়। কিন্তু আরসালানকে জেরা করতে গিয়েই গোটা তদন্ত নাটকীয় মোড় নেয়। দুর্ঘটনার জেরে গাড়িতে এয়ারব্যাগ খুললেও তার আঘাত আরসালান পারভেজের গায়ে ছিল না। অপরাধীকে যে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। তবে রাঘিব পারভেজকে পরে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় পুলিশ এই ঘটনা মামা হামজা মহম্মদও কম দোষী নন। তিনি ভাগনকে পালাতে সাহায্য করেছেন, পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়েছেন। অপরাধীকে আড়াল করে অভিযুক্তের তালিকায় এসেছেন আরসালান পারভেজও। আরও পড়ুন-রাজীব কুমারকে খুঁজতে শহরে সিবিআইয়ের বিশেষ দল, প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার কোথায় তা নিয়ে নানা জল্পনা মিডিয়ায়
এই প্রসঙ্গে গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, জাগুয়ারের গাড়িচালক রাঘিব পারভেজ, তার ছোট ভাই আরসালান পারভেজ এবং মামা মহম্মদ হামজার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। চালক রাঘিবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ (অনিচ্ছাকৃত খুন), ৩০৮ (অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা) সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের জন্য পিডিপিপি আইনের ৩ নম্বর ধারা এবং মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের ১১৯ এবং ১৭৭ নম্বর ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। অন্যদিকে, আরসালানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ (প্রমাণ লোপাট এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করা) এবং মামা হামজার বিরুদ্ধে ২০১, ২১২ (তথ্য প্রমাণ লোপাট এবং অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়া ও পালাতে সাহায্য করা) ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)