Solar Eclipse 2019: বর্ষ শেষের খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ, আঁধারে ঢাকল পশ্চিমবঙ্গ(দেখুন ভিডিও)
বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া সূর্যগ্রহণ চলবে বেলা ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এদিন সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ, সঙ্গে মেঘ। তাই অন্তত সকাল নটা পর্যন্ত গ্রহণ দেখা গেল মেঘ-কুয়াশার আস্তরণের মাঝখান দিয়ে। খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে তেমন উন্মাদনা দেখা যায় না, তবে এখনও সকাল বেলা গ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেজে ওঠে শাঁখ, অনেকেই গ্রহণের সময় কোনও রকম খাবার খান না। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। সাধরণত খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা যায় না সূর্যের তেজের জন্যই। আজ যদিও মেঘ ও বৃষ্টির মেলবন্ধনে সেই তেজ উধাও।
কলকাতা, ২৬ ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হওয়া সূর্যগ্রহণ চলবে বেলা ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এদিন সকাল থেকেই কুয়াশায় ঢাকা আকাশ, সঙ্গে মেঘ। তাই অন্তত সকাল নটা পর্যন্ত গ্রহণ দেখা গেল মেঘ-কুয়াশার আস্তরণের মাঝখান দিয়ে। খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ নিয়ে তেমন উন্মাদনা দেখা যায় না, তবে এখনও সকাল বেলা গ্রহণ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বেজে ওঠে শাঁখ, অনেকেই গ্রহণের সময় কোনও রকম খাবার খান না। এ দিনও ব্যতিক্রম হয়নি। সাধরণত খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা যায় না সূর্যের তেজের জন্যই। আজ যদিও মেঘ ও বৃষ্টির মেলবন্ধনে সেই তেজ উধাও। হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে ডিসেম্বরের নয় আগস্টের বর্ষণমুখর দিন আজ।
এদিন গ্রহণ দেখা যায় কলকাতা-সহ গোটা ভারতে। দক্ষিণের রাজ্য, কেরল ও তামিলনাড়ুর আকাশে সবচেয়ে বেশি ঢাকা পড়েছিল সূর্য, প্রায় ৯৩ শতাংশ। অবশ্য মধ্য ভারত, পশ্চিম ভারত ও পূর্ব ভারতে সূর্যের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ঢেকে যাওয়া অংশ দেখা গেছে। কলকাতা থেকেও তাই। সকালেই ৮টা ২৭মিনিট থেকে শুরু হয়েছে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চলবে বেলা ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী হবে গ্রহণ। তারপরেই ছাড়তে শুরু করবে। একমাত্র অমাবস্যা তিথিই সূর্যগ্রহণ হয়। যাঁরা এখনও সংস্কারমুক্ত হতে পারেননি তাঁরা গ্রহণের পরে নদীতে স্নান করেন, গ্রহণের সময় কোনও রান্না করেন না, খাওয়াদাওয়া করেন না। রান্নাকরা খাবার তুলসিপাতায় ঢেকে রাখেন। আরও পড়ুন-
এদিকে সূর্যগ্রহণের সময়টুকু অর্থাৎ প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বন্ধ থাকবে তারাপীঠের মন্দির। বীরভূমের অন্য পাঁচটি সতীপীঠের মন্দিরও গ্রহণের সময় বন্ধ থাকছে। গ্রহণের সময় মন্দির চত্বরে চলবে হরিনাম সংকীর্তন। এবারের সূর্যগ্রহণ বলয় গ্রাস। এই সময় খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকানো উচিত নয়। বিশেষ চশমা দিয়ে গ্রহণ দেখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভুবনশ্বর, চেন্নাই-সহ একাধিক জায়গার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সকাল থেকেই ভিড় উৎসাহী জনতার। নাসার হিসেব অনুযায়ী, একুশ শতকের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ ছিল ২০১০ সালের ১৫ জানুয়ারি। সেদিন গ্রহণের স্থায়িত্ব ছিল ১১ মিনিট ৭.৮ সেকেন্ড। সাধারণত বলয়গ্রাসের মেয়াদ ১২ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের বেশি হতে পারে না। ২০৪৯ এবং ২০৫০ সালে পরপর দেখা যাবে সূর্যের মিশ্র গ্রহণ। আরও পড়ুন-Delhi Cold Wave: প্রবল শৈত্য প্রবাহের কবলে উত্তরভারত, ১২ বছরে ফের এমন শীতে কাঁপছে রাজধানী
তিরুবনন্তপুরমের সেন্ট্রাল স্টেডিয়ামে এলইডি স্ক্রিন থেকে শুরু করে, পিনহোল ক্যামেরা, সোলার ফিল্টার-সহ যাবতীয় সামগ্রীর আয়োজন করা হয়েছে। তবে বলয়গ্রাসের পথ থেকে যত উত্তরে বা দক্ষিণে যাওয়া হবে, তত সূর্যের কম অংশকে গ্রহণ হিসাবে ঢাকা পড়তে দেখা যাবে। কলকাতাও এই তালিকাতেই পড়েছে।