আইফোন, আইম্যাকের ডিজাইনার স্যার জনি আইভ এবার অ্যাপল ছাড়ছেন, কেন জানেন?
জনি আইভকে স্পিরিচুয়াল পার্টনার বলতেন অ্যাপল-এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোবস
ক্যালিফোর্নিয়া, ২৮জুন: স্যার জনি আইভকে (Sir Jony Ive) মনে আছে? মনে থাকতেই হবে অ্যাপল-এর ডিজাইনার বলে কথা। আইফোন থেকে শুরু করে আই ম্যাক, আইপড (iMac, iPod and iPhone) সবেরই ডিজাইন তাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত ভাবনা থেকে এসেছে। আর এই ভাবনার ডানায় ভর করে তরতরি সমস্ত ফোন প্রস্তুতকার সংস্থাকে পিছনে ফেলে সেরার শিরোপা জিতে নিয়েছে অ্যাপল। শুধু জেতেনি, দীর্ঘদিন ধরে সেই আসনটি ধরে রেখেছে। এই কৃতিত্বের পিছনে সব থেকে বড় আনসিন হিরো কিন্তু স্যার জনি আইভ। ধুঁকতে থাকা অ্যাপলকে (Apple)১৯৯৬ সালে নতুন আলোর সন্ধান দেন তিনিই। আরও পড়ুন- অ্যাক্যাউন্ট পাসওয়ার্ড হ্যাক হলেই গুগল বাজাবে বিপদঘণ্টি, কী করে বুঝবেন?
এক বছরের মধ্যে অ্যাপল নিজেকে গুছিয়ে নিতে শুরু করে। চিফ ডিজাইনার হিসেবে জনি আইভের অ্যাপল-এ যোগদানের পড়েই প্রযুক্তির দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটে যায়। পায়ে পায়ে সাফল্য় এসে ধরা দেয় ২০০১-এ আইপড তখন নতুন জেনারেশনকে বুঁদ করে ফেলেছে। বছর বছর আইফোনের নতুন জেনারেশন টেকস্যাভিদের মাথা ঘোরাচ্ছে। ততবেশি প্রিয় হয়ে উঠছে অ্যাপল। এবার সেই সংস্থাকেই বিদায় দিতে চলেছেন সুপার ডুপারহিট চিফ ডিজাইনার স্যার জনি আইভ। তিনি নিজে একটি সংস্থা তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। এবার নিজের সংস্থার কাজই করবেন তিনি। তাঁর প্রথম কাস্টমার অবশ্যই অ্যাপল, অফিস হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়াতে। সংস্থার নাম লাভফ্রম, চলতি বছরের শেষেই তিনি অ্যাপল ছাড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে।
বলা বাহুল্য, ডিজাইনের ক্ষেত্রে স্যার জনি আইভের জুড়ি এখনও মেলা ভার। অ্যাপল-এ যোগ দেওয়ার পর ১৯৯৮ সালে তিনি আইম্যাক ডিজাইন করেন। এরপর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, অ্যাপল জনপ্রিয়তার শীর্ষে যত উঠেছে ততই স্যার জনি আইভের কদর বেড়েছে। বেড়েছে বেতন, ঠাঁটবাট, স্টেটাস সবকিছুই। তিনি অ্যাপলের প্রধান সদর দপ্তরের ডিজাইনও নিজে হাতে করেছেন। সম্প্রতি আমেরিকায় তৈরি হয়েছে অ্যাপল পার্ক, তা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে নামজাদা টেকনোক্র্যাটরা সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন। সেই অ্যাপল পার্কও তিনিই ডিজাইন করেছেন। তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়েই ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ তাঁকে নাইটহুডে ভূষিত করেন ২০১২ সালে। এরপর থেকেই তো তিনি স্যার জনি আইভ। এবার অ্যাপল ছেড়ে লাভফ্রমকে সমৃদ্ধ করবেন, তবে লাভফ্রম কী তৈরি করছে তা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। ক্যালিফোর্নিয়াতেই হবে লাভফ্রমের সদর দপ্তর তা স্পষ্ট, কিন্তু কোথায় হবে তা জানা নেই।