Anti-CAA Protests: CAA বিরোধী বিক্ষোভের কারণে বন্ধ ইন্টারনেট, অফলাইনে চ্যাট করতে ডাউনলোড করুন এই অ্যাপগুলি
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি (Delhi)। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা। উত্তরপ্রদেশের কুড়িটিরও বেশি জেলায় এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি। একই অবস্থা অসমের বিভিন্ন জেলাগুলিরও। এমন পরিস্থিতিতে আত্মীয় পরিজন-বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়ে পড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কিংবা টেলিগ্রামে যাঁরা চ্যাটিংয়ে অভ্যস্ত, তাঁরা বেশ অসুবিধায় পড়েছেন। তবে তাদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ Firechat, Bridgefy ও Signal Offline Messenger হল এমন কয়েকটি অ্যাপ যা ইন্টারনেট ছাড়া চলে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মতো জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধের কারণে অ্যাক্সেস বন্ধ। তাই এই ধরনের মেসেজিং অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে।
নতুন দিল্লি, ২২ ডিসেম্বর: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজধানী দিল্লি (Delhi)। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা। উত্তরপ্রদেশের কুড়িটিরও বেশি জেলায় এখনও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়নি। একই অবস্থা অসমের বিভিন্ন জেলাগুলিরও। এমন পরিস্থিতিতে আত্মীয় পরিজন-বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ কঠিন হয়ে পড়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার কিংবা টেলিগ্রামে যাঁরা চ্যাটিংয়ে অভ্যস্ত, তাঁরা বেশ অসুবিধায় পড়েছেন। তবে তাদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না। কারণ Firechat, Bridgefy ও Signal Offline Messenger হল এমন কয়েকটি অ্যাপ যা ইন্টারনেট ছাড়া চলে। হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মতো জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে ইন্টারনেট বন্ধের কারণে অ্যাক্সেস বন্ধ। তাই এই ধরনের মেসেজিং অ্যাপের ব্যবহার বাড়ছে।
হংকং এর চলতি গণআন্দোলন থেকে শিক্ষা নিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামা প্রতিবাদীদের অস্ত্র এখন অফলাইন মেসেজিং চ্যাট অ্যাপ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) ও দেশজুড়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি(NRC) বলবৎ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত। তাতে প্রাণ গেছে একাধিকের। এই পরিস্থিতে অশান্তির আগুন এবং বিভ্রান্তিমূলক খবর এবং তথ্য যাতে না ছড়ায় সেই কারনে দেশের রাজ্যে-রাজ্যে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। কিন্তু তাতে কী। শাসকের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে, প্রতিবাদকে আগামী দিনে আরও জোড়াল করে তুলতে, হংকং-এর প্রতিবাদীদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে, হাতিয়ার করে নিয়েছে অফলাইন অ্যাপ মেসেজিং পরিষেবা। প্রধানত Bridgefy, Fire-Chat ও Signal Offline Messenger এই তিনটি অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন সহ অন্য আরও এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গত ১৪ দিনে দেশজুড়ে তড়িৎ গতিতে হয়েছে জনপ্রিয়। আরও পড়ুন: Pinaka Missile System: পিনাকা মিসাইল সিস্টেমের সফল পরীক্ষা করল ডিআরডিও
গুগল প্লে স্টোর থেকে ১০ লাখ বার ইনস্টল করা Fire Chat। এই অ্যাপটি ইন্টারনেট সংযোগ বা সেলুলার ফোন কভারেজ ছাড়াই কাজ করে। অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করতে আপনাকে আপনার ফোনে ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই অ্যাকটিভ রাখতে হবে। ওয়াইফাই অ্যাক্সেস পয়েন্টে সংযুক্ত থাকলে বা না থাকলেও এই অ্যাপ্লিকেশনটি কাজ করে। কাছাকাছি বসবাসকারী লোকেদের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদানের জন্য এই অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে যখন আপনার কাছে কোনও নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট সংযোগ বা সেলুলার নেটওয়ার্কের অ্যাক্সেস থাকে, তখন Fire Chat ব্যবহার করে আপনি বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে মেসেজ পাঠাতে পারেন।
Bridgefy হল আরও একটি অফলাইন মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ ব্যবহার করে আপনি ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও মেসেজ পাঠাতে পারবেন। শুধুমাত্র ব্লুটুথ অন রাখতে হবে। গুগল প্লে স্টোর থেকে ৫ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারী এই অ্যাপটি ইনস্টল করেছে। এই অ্যআপ ব্যবহার করে আপনি আপনার ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে ব্যক্তিগত চ্যাট করতে পারবেন। "mesh mode" অপশন চালু করে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে চ্যাট করা যাবে। তবে মাঝখানে অন্য কোনও ব্যবহারকারীর প্রয়োজন হবে। অন্যদিকে গুগল প্লে স্টোর থেকে ৫০ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী Signal Offline Messenger নামের এই অ্যাপটি ইনস্টল করেছে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে ১০০ মিটার অবধি ইন্টারনেট বা স্থানীয় নেটওয়ার্ক সংযোগ ছাড়াই মেসেজ পাঠানো যেতে পারে।
এই সময়ের খবর অনুযায়ী, আমেরিকার এর অ্যাপ ইন্টেলিজেন্স সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে যখন অসম এবং মেঘালয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়, সেই দিন থেকে এই ধরনের অফলাইন অ্যাপ ডাউনলোড করার পরিমান ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতে। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগে Bridgefy প্রতিদিন যেখানে ২৫জন ডাউনলোড করতেন। ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ায় প্রতিদিন এক লাফে সেই সংখ্যা ১০০ শতাংশ বেড়ে হয় ২ হাজার ৬০৯ জন। শুধু অসম বা মেঘালয়েই নয়, রাজধানী দিল্লিতেও গত কয়েকদিনে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। ভারতে রাতারাতি একটি গণআন্দোলনের জেরে যে ভাবে Bridgefy, Fire-Chat এর বাজার বেড়েছে, তাতে করে ইতোমধ্যে দুই সংস্থার তরফে তাদের টুইটার পেজে ভারতীয় গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানিয়ে, আগামী দিনে ভারতে আরও উন্নততর পরিষেবা দেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছে।