Marieke Vervoort: প্যারালিম্পিক সোনাজয়ী মার্কি ভেরভোর্তের স্বেচ্ছামৃত্যু, প্রতিবন্ধকতা হারানো সোনার মেয়ের শারীরিক যন্ত্রণার কাছে হার স্বীকার

২০১২ লন্ডন প্যারিলিম্পিকে হুইল চেয়ার রেসে জিতেছিলেন একটা সোনা, একটা রুপো। ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও পদক জিতেছিলেন। বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন। বেলজিয়ামের সেই জনপ্রিয় প্যারা অ্যাথলিট মার্কি ভেরভোর্ত প্রচন্ড যন্ত্রণায় স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথানেসিয়া (Euthanasia)-র পথ বেছে নিলেন। স্বেচ্ছামৃত্য়ু বেলজিয়ামে আইনগত দিক থেকে বৈধ।

Marieke Vervoort (Photo Credits: Getty Images)

২০১২ লন্ডন প্যারিলিম্পিকে হুইল চেয়ার রেসে জিতেছিলেন একটা সোনা, একটা রুপো। ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও পদক জিতেছিলেন। বিশ্ব প্যারা অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপেও সোনা জিতেছিলেন। বেলজিয়ামের সেই জনপ্রিয় প্যারা অ্যাথলিট মার্কি ভেরভোর্ত (Marieke Vervoort) প্রচন্ড যন্ত্রণায় স্বেচ্ছামৃত্যু বা ইউথানেসিয়া (Euthanasia)-র পথ বেছে নিলেন। স্বেচ্ছামৃত্য়ু বেলজিয়ামে আইনগত দিক থেকে বৈধ। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত রোগী, যারা অসহনীয় যন্ত্রনায় ভুগছে, কিন্তু তাদের শারীরিক যন্ত্রণা কমানোর মত আর কোনো ডাক্তারী প্রচেষ্টা বাকি নেই, তারা এখন থেকে স্বেচ্ছায় কম কষ্টে মৃত্যুবরণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলে, ডাক্তাররা তা বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে বেলজিয়ামে আইন আছে। যা ২০১৪ সালে কার্যকর হয়। আরও পড়ুন-অগ্নি নয়, ভারতের সংবিধান সাক্ষী রেখে বিয়ে করলেন ওড়িশার দম্পতি

মঙ্গলবার, ৪০ বছর বয়সে স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই প্যারা অ্যাথলিট। রিও প্যারালিম্পিকে পদক জয়ের পরই মার্কি জানিয়েছিলেন, যদি তাঁর শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হয় তাহলে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যু গ্রহণ করবেন। কারণ তিনি এই সুন্দর পৃথিবীতে তিনি যন্ত্রণা নিয়ে বাঁচতে চান না। রিও অলিম্পিকে শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও ৪০০ মিটার হুইলচেয়ার রেসে ব্রোঞ্জ, ও একই রেসের ১০০ মিটারে রুপো জিতেছিলেন মার্কি।

মার্কি ১৪ বছর বয়স থেকেই জটিল এক পেশীর রোগে আক্রান্ত। যা রোগে গোটা শরীর জুড়ে থাকে অসম্ভব যন্ত্রণা। বাঁ দিকের পা-টা সম্পূর্ণ অচল। এতই যন্ত্রণা যে রাতে ওর ঠিক মত ঘুম আসে না। ২০১৬ রিও প্যারিলিম্পিকের পর থেকেই ওর শরীরটা আরও খারাপ হয়ে আসছিল। যন্ত্রণা বাড়ছিল ক্রমশ। দুনিয়ার সেরা ডাক্তারদের দেখিয়েও ফল হচ্ছিল না। আসলে ওর রোগটা এতটাই জটিল ছিল। এত কষ্ট, যন্ত্রণা নিয়েও সব সময় হাসতে, মজা করতে দেখা যেত তাঁকে।