Diego Maradona Death: চলে গেলেন মারাদোনা, ফুটবলের রাজপুত্রের বর্ণময় ফুটবল জীবন এক ঝলকে

তিনি ফুটবল রাজপুত্র, কারও কাছে স্বপ্নের নায়ক, আবারও কারও চোখে ঈশ্বর। সেই মারাদোনা (Diego Maradona) প্রয়াত হয়েছেন গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তাঁর মোহময়ী প্রতিভা মুগ্ধ করেছে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীকে। তাই দিয়েগো মারাদোনা আজও সুপারস্টার। শৈশবের দারিদ্রের অভিশাপ কাটিয়ে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। তিনি চলে গেলেও থেকে যাবে সেই অনন্তকালের তর্ক- কে বড় ফুটবলার? পেলে না মারাদোনা? বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের ভোটাভুটিতে মারাদোনার কাছে হার মেনেছিলেন পেলেও। কিন্তু ফিফা দু’জনকেই সম্মানিত করে। অসামান্য, কিংবদন্তি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই ফুটবলারের এক জন, বিরলতম প্রতিভা, সদা বিতর্কিত। ফুটবল আকাশে এমন চরিত্রের উদয় খুব কমই দেখা গিয়েছে। সাড়ে ৫ ফুটের লোকটা, আর্জেন্তিনার এক শ্রমিক পরিবারের পঞ্চম সন্তান। বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাদী রাজপুত্র। মারাদোনা তো শুধু একজন বিশ্ববন্দিত ফুটবলার নন, তিনি এক উদ্দাম জীবন। যার বাঁকে বাঁকে বিতর্ক, তাকে টপকে কেবল ফুটবলেই যাপন। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা আবারও চোখ বুলিয়ে নেব আর্জেন্টিনা তারকার নানা ফুটবল মুহূর্ত।

Diego Maradona

তিনি ফুটবল রাজপুত্র, কারও কাছে স্বপ্নের নায়ক, আবারও কারও চোখে ঈশ্বর। সেই মারাদোনা (Diego Maradona) প্রয়াত হয়েছেন গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তাঁর মোহময়ী প্রতিভা মুগ্ধ করেছে গোটা বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমীকে। তাই দিয়েগো মারাদোনা আজও সুপারস্টার। শৈশবের দারিদ্রের অভিশাপ কাটিয়ে কিংবদন্তি হয়ে উঠেছিলেন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা। তিনি চলে গেলেও থেকে যাবে সেই অনন্তকালের তর্ক- কে বড় ফুটবলার? পেলে না মারাদোনা? বিংশ শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের ভোটাভুটিতে মারাদোনার কাছে হার মেনেছিলেন পেলেও। কিন্তু ফিফা দু’জনকেই সম্মানিত করে। অসামান্য, কিংবদন্তি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুই ফুটবলারের এক জন, বিরলতম প্রতিভা, সদা বিতর্কিত। ফুটবল আকাশে এমন চরিত্রের উদয় খুব কমই দেখা গিয়েছে। সাড়ে ৫ ফুটের লোকটা, আর্জেন্তিনার এক শ্রমিক পরিবারের পঞ্চম সন্তান। বিশ্ব ফুটবলের অবিসংবাদী রাজপুত্র। মারাদোনা তো শুধু একজন বিশ্ববন্দিত ফুটবলার নন, তিনি এক উদ্দাম জীবন। যার বাঁকে বাঁকে বিতর্ক, তাকে টপকে কেবল ফুটবলেই যাপন। তবে এই প্রতিবেদনে আমরা আবারও চোখ বুলিয়ে নেব আর্জেন্টিনা তারকার নানা ফুটবল মুহূর্ত।

ক্লাব ক্যারিয়ার:

আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স এবং বোকা জুনিয়র্স: ১৯৭৬ সালের ২০ অক্টোবর, নিজের ষোলতম জন্মদিনের দশ দিন আগে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে মারাদোনার অভিষেক হয়। সেখানে তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ছিলেন এবং ১৬৭ খেলায় ১১৫টি গোল করেন। এরপর তিনি ১ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বোকা জুনিয়র্সে পাড়ি জমান। ১৯৮১ মরশুমের মাঝামাঝি সময় বোকায় যোগ দিয়ে ১৯৮২ সালে তিনি প্রথম লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেন।

বার্সেলোনা: ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনায় যোগ দেন মারাদোনা। ১৯৮৩ সালে, কোচ সিজার লুইস মেনত্তির অধীনে মারাদোনা রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে কোপা দেল রে এবং অ্যাথলেটিক বিলবাওকে হারিয়ে স্পেনিয় সুপার কাপ জেতেন। তবে, বার্সায় মারাদোনা কিছুটা খারাপ সময় কাটিয়েছেন। প্রথমে তাঁকে হেপাটাইটিসের সঙ্গে লড়তে হয়, এরপর তাঁকে পড়তে হয় গোড়ালির ইনজুরিতে। বার্সেলোনায় মারাদোনা ৫৮ খেলায় ৩৮টি গোল করেন। যদিও ক্লাব পরিচালকদের সঙ্গে ঘনঘন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, বিশেষ করে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ইয়োসেপ লুইস নুনেজের সাঙ্গে।

নাপোলি: ১৯৮৪ সালে ৬.৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে মারাদোনাকে কিনে নেয় নাপোলি। নাপোলিতে মারাদোনা তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ারের শিখরে পৌঁছান। তিনি খুব দ্রুত ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং সেই সময়টিই ছিল নাপোলির ইতিহাসের সফলতম যুগ। মারাদোনার অধীনে নাপোলি ১৯৮৬–৮৭ ও ১৯৮৯–৯০ মরশুমে সিরি এ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতে এবং ১৯৮৯–৮৮ ও ১৯৮৮–৮৯ মরশুমে তারা রানার-আপ হয়। এছাড়া মারাদোনার সময়ে নাপোলি একবার কোপা ইতালিয়া জেতে (১৯৮৭) এবং একবার রানার-আপ (১৯৮৯) হয় এবং ১৯৯০ সালে ইতালিয় সুপার কাপ জেতে। ১৯৮৭–৮৮ মরশুমের সিরি এ-তে মারাদোনা সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। ইতালিতে থাকাকালীন মারাদোনার ব্যক্তিগত সমস্যা বৃদ্ধি পায়। তাঁর মাদকের নেশা বহাল থাকে। অনুশীলনে অনুপস্থিত থাকায় ক্লাবের পক্ষ হতে তাঁকে ৭০,০০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়। এছাড়া পুত্রসন্তান সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির মুখোমুখি হতে হয়। পরবর্তীতে, মারাদোনা এবং নাপোলিতে থাকাকালে তাঁর অর্জনসমূহের প্রতি সম্মান জানিয়ে নাপোলির ১০ নম্বর জার্সিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সেভিয়া, নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ এবং বোকা জুনিয়র্স: ড্রাগ টেস্টে ধরা পড়ে ১৫ মাসের নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ১৯৯২ সালে মারাদোনা নাপোলি ছেড়ে দেন। স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ফরাসি ক্লাব অলিম্পিকে মার্শেই তাxর প্রতি আগ্রহী হলেও তিনি স্পেনীয় ক্লাব সেভিয়াতে যোগ দেন। সেখানে তিনি এক বছর ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি লিওয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেন এবং ১৯৯৫ সালে তিনি বোকা জুনিয়র্সে ফিরে আসেন এবং সেখানে ২ বছর খেলেন। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পূর্বে মারাদোনা টটেনহাম হটস্পারের হয়েও মাঠে নামেন ইন্টারন্যাজিওনালের বিপক্ষে। খেলায় টটেনহাম ২–১ গোলে জয় লাভ করে। তিনি গ্লেন হোডেলের সঙ্গে খেলেন, যিনি মারাদোনার জন্য তাঁর ১০ নম্বর জার্সিটি ছেড়ে দিয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে মারাদোনা টানা চারটি বিশ্বকাপে খেলেন। এর মধ্যে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতে এবং ১৯৯০ সালে হয় রানার-আপ। ১৯৭৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৬ বছর বয়সে হাঙ্গেরির বিপক্ষে মারাদোনার অভিষেক হয়। ১৯৭৯ সালে ১৮ বছর বয়সে তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ফিফা বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার ফাইনালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ৩–১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। ১৯৭৯ সালের ২ জুন, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে সিনিয়র দলের হয়ে প্রথম গোল করেন মারাদোনা। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ফিফা অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্বকাপ (১৯৭৯) ও ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৮৬) উভয় প্রতিযোগিতায় গোল্ডেন বল জিতেছেন।

১৯৮২ বিশ্বকাপ: মারাদোনার ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা ছিল ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপ। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী খেলায় ক্যাম্প ন্যু-তে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় বেলজিয়ামের। যদিও আর্জেন্টিনা বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১–০ গোলের ব্যবধানে হেরে যায়। গ্রুপ পর্বের অপর দুই খেলায় হাঙ্গেরি এবং এল স্যালভাদরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জয় লাভ করে এবং দ্বিতীয় পর্বে পৌঁছায়। কিন্তু, দ্বিতীয় পর্বে ইতালি এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে পরাজিত হয়ে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার সবকয়টি খেলায় পুরো সময় মাঠে ছিলেন মারাদোনা। হাঙ্গেরির বিপক্ষে তিনি ২টি গোল করেন, তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলা শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে ফাউল করার দায়ে তাঁকে লাল কার্ড দেখানো হয়।

১৯৮৬ বিশ্বকাপ: ১৯৮৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মারাদোনা। প্রতিযোগিতার ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতার পুরোটা জুড়েই ছিল মারাদোনার আধিপত্য। তিনি আর্জেন্টিনার প্রত্যেকটি খেলায় পুরোটা সময়ই মাঠে ছিলেন। পুরো প্রতিযোগিতায় তিনি পাঁচটি গোল করেন এবং সতীর্থদের দিয়ে করান আরও পাঁচটি। প্রতিযোগিতায় তিনি প্রথম গোল করেন ইতালির বিপক্ষে, গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় খেলায়। কোয়ার্টার-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে নিজেকে কিংবদন্তি হিসেবে প্রমাণ করেন তিনি। আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ডের মধ্যকার ফকল্যান্ড যুদ্ধের কারণে খেলায় উত্তেজনার কমতি ছিল না। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। দ্বিতীয়ার্ধে, খেলার ৫১তম মিনিটে মারাদোনা একটি গোল করেন। রিপ্লেতে দেখা যায় গোলটি করার সময় তিনি হাত দিয়ে বলে আঘাত করেছেন। পরবর্তীতে এই গোলের নাম দেওয়া হয় “দ্য হ্যান্ড অফ গড”। ২০০৫ সালের ২২ অগাস্ট একটি টেলিভিশন শো-তে মারাদোনা স্বীকার করেন যে তিনি গোলটি ইচ্ছাকৃতভাবেই হাত দিয়ে করেছিলেন, মাথা বল স্পর্শ করেনি এবং সে মুহূর্তে তিনি জানতেন গোলটি অবৈধ। ইংরেজ খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ করলেও রেফারি গোলের বাঁশি বাজান। এর চার মিনিট পরেই মারাদোনা দ্বিতীয় গোল করেন, যেটিকে ফিফা পরবর্তীতে বিশ্বকাপের ইতিহাসের সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত করে। মাঠে নিজেদের অর্ধে তিনি বল পায়ে নেন, ইংল্যান্ডের গোলপোস্টের দিকে ঘুরে দাড়ান এবং মাঠের অর্ধেকেরও বেশি অংশ দৌড়ে, পাঁচ জন ইংরেজ ডিফেন্ডার (পিটার বেয়ার্ড্‌স্‌লি, স্টিভ হজ, পিটার রেইড, টেরি বাচার ও টেরি ফেনউইক) এবং গোলরক্ষক পিটার শিলটনকে কাটিয়ে গোল করেন। ২০০২ সালে, ফিফা অনলাইনে ভোটের আয়োজন করলে এই গোলটি “শতাব্দীর সেরা গোল” হিসেবে নির্বাচিত হয়।

সেমি-ফাইনালে বেলজিয়ামের বিপক্ষেও তিনি জোড়া গোল করেন। ফাইনালে, প্রতিপক্ষ পশ্চিম জার্মানি তাঁকে ডাবল-মার্কিং করে রাখে। তা সত্ত্বেও, মারাদোনার বাড়িয়ে দেওয়া পাসে আর্জেন্টিনার পক্ষে জয়সূচক গোল করেন হোর্হে বুরুচাগা। ইস্তাদিও অ্যাজতেকার ১১৫,০০০ দর্শকের সামনে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে ৩–২ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে আর্জেন্টিনা। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার ১৪টি গোলের ১০টিতেই মারাদোনার অবদান ছিল, গোলপোস্টে আর্জেন্টিনার পুরো দলের নেয়া মোট শটের অর্ধেকেরও বেশি ছিল তাঁর তৈরি করা। পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে ছিল তাঁর দাপট। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের আতঙ্কের কারণ ছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতা শেষে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে মারাদোনাকে গোল্ডেন বল পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁকে একক প্রচেষ্টায় বিশ্বকাপ জয়ী হিসেবে ব্যাপকভাবে গণ্য করা হয়। তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে স্তাদিও অ্যাজতেকা কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটির সামনে মারাদোনার গোল অফ দ্য সেঞ্চুরির একটি প্রতিমূর্তি নির্মাণ করেছে। প্রতিমূর্তিটি স্টেডিয়ামের প্রবেশপথের সামনে স্থাপিত।

১৯৯০ বিশ্বকাপ: ১৯৯০ বিশ্বকাপে পুনরায় আর্জেন্টিনার অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন মারাদোনা। কিন্তু, গোড়ালির ইনজুরির কারণে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের মত নৈপূন্য তিনি দেখাতে পারেননি। প্রথম পর্বে গ্রুপে তৃতীয় স্থানে থেকেও কোনরকমে দ্বিতীয় পর্বের টিকিট পায় আর্জেন্টিনা। ১৬ দলের পর্বে ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্লদিও ক্যানিজিয়ার একমাত্র গোলে জয় পায় তারা, গোলটি মারাদোনারই বানিয়ে দেওয়া ছিল। কোয়ার্টার-ফাইনালে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় ইয়োগোস্লাভিয়ার। খেলাটি ১২০ মিনিট পর্যন্ত ০–০ সমতায় শেষ হলে পেনাল্টি পর্যন্ত গড়ায়। গোলরক্ষকের ডান পাশে নেওয়া মারাদোনার দূর্বল শটটি গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দেন। তবুও আর্জেন্টিনা ৩–২ ব্যবধানে পেনাল্টিতে জয় লাভ করে। সেমি-ফাইনালে, ইতালির বিপক্ষে ১২০ মিনিট পর্যন্ত স্কোর ছিল ১–১, ফলে এবারও খেলা গড়ায় পেনাল্টিতে। এবারও মারাদোনা একই ধরনের শট নেন। তবে এবার বলটি ঠিকটি গোলপোস্টের জালে জড়ায়। ফাইনালে এবারও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয় পশ্চিম জার্মানির। খেলায় রুডি ফোলারকে ফাউল করার কারণে দেওয়া বিতর্কিত পেনাল্টিতে আনড্রেয়াস ব্রেহমার করা একমাত্র গোলে জয় পায় পশ্চিম জার্মানি।

১৯৯৪ বিশ্বকাপ: ১৯৯৪ বিশ্বকাপে মারাদোনা শুধুমাত্র দুইটি খেলায় মাঠে নামেন। এর মধ্যে গ্রিসের বিপক্ষে তিনি একটি গোল করেন। ড্রাগ টেস্টে এফিড্রিন ডোপিংয়ের কারণে তাঁকে বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করা হয়। নিজের আত্মজীবনীতে মারাদোনা ওই টেস্ট সম্পর্কে বলেন যে তাঁর ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক এনার্জি ড্রিংকস রিপ ফুয়েল দেওয়ার কারণে তিনি ড্রাগ টেস্টে ধরা পড়েছেন। তাঁর দাবি ছিল, পানীয়টির যুক্তরাষ্ট্রীয় সংস্করণ আর্জেন্টিনীয় সংস্করণের মত নয়, যার মধ্যে ওই রাসায়নিক দ্রব্যটি ছিল এবং তাঁর প্রশিক্ষক অনিচ্ছাকৃতভাবে তা ব্যবহার করে। ফিফা তাঁকে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কার করে এবং আর্জেন্টিনাও দ্বিতীয় পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পর মারাদোনার ১৭ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে। পুরো ক্যারিয়ারে তিনি ৯১ খেলায় ৩৪টি গোল করেন।

(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)

Share Now

Share Now