Basic History Of East Bengal: প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গের অন্য নাম ইস্টবেঙ্গল, শতবর্ষের ইতিকথায় লাল-হলুদ ভালোবাসা
প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ থেকেই ১০০ বছর আগে লাল হলুদ সমর্থকদের প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) জন্ম হয়। এরপর নানান ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে শতবর্ষ কেটেছে। করোনা আবহে সেভাবে আর উদযাপন হল কই। তবে তাতে কী, বিশেব যে প্রান্তেই একটা বাঙালের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়, সেখানেই বেঁচে থাকে লাল-হলুদ আবেগ। এভাবে কালে কালে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর কোণে কোমে। ঘটি বাঙাল কড়চার কথা তুললে তো বলতেই হয়, ২২ গজে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে ভারত যেমন খুশি হয়। ঠিক তেমনই প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে গোল খাইয়ে জয়ের হাশি হাসতে পারলে তৃপ্তির ঢেকুড় তোলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
প্রতিবাদের স্ফুলিঙ্গ থেকেই ১০০ বছর আগে লাল হলুদ সমর্থকদের প্রিয় ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) জন্ম হয়। এরপর নানান ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে শতবর্ষ কেটেছে। করোনা আবহে সেভাবে আর উদযাপন হল কই। তবে তাতে কী, বিশেব যে প্রান্তেই একটা বাঙালের অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়, সেখানেই বেঁচে থাকে লাল-হলুদ আবেগ। এভাবে কালে কালে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর কোণে কোমে। ঘটি বাঙাল কড়চার কথা তুললে তো বলতেই হয়, ২২ গজে পাকিস্তানকে হারাতে পারলে ভারত যেমন খুশি হয়। ঠিক তেমনই প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে গোল খাইয়ে জয়ের হাশি হাসতে পারলে তৃপ্তির ঢেকুড় তোলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
ইস্ট-মোহনের শত্রুতা একে অপরের পরিপূরক। সালটা ১৯২০-র ২৮ জুলাই। ম্যাচ চলছিল তৎকালীন বহুল জনপ্রিয় কোচবিহার কাপের ফাইনাল। মুখোমুখি মোহনবাগান ও জোড়া বাগান ক্লাব। ওপার বাংলার নসা সেন ও শৈলেশ বসু তখন জোড়া বাগানে খেলছেন। মোহনবাগান এই ম্যাচে জিতে গেলে হারার দায় দলের বাঙাল খেলোয়াড়দের উপরেই চাপিয়ে দেয় জোড়াবাগান ক্লাবের বাঙালি কর্তারা। এতবড় অসম্মান পদ্মাপারের মানুষদের হজম হয়নি। রাতরাতি জোড়াবাগান ছাড়েন এই দুই ফুটবলার। একই সিদ্ধান্ত নেন জোড়াবাগান ক্লাবের সহ-সভাপতি সুরেশচন্দ্র চৌধুরি। তিনি ছিলেন জমিদার মানুষ। বাঙালদের উন্নতিতে কখনও কার্পণ্য করেননি। তাই স্থানীয় সমস্ত ক্লাব থেকে পূর্ববঙ্গের ছেলেদের নিয়ে গড়ে তুললেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব। এই নামটি তাঁর মনে ধরেছিল। সেই মতো ১৯২০-র আগস্টের ১ তারিখে তড়িৎভূষণ রায়ের কুমোরটুলির বাড়িতেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। পরের বছরেই অর্থাৎ ১৯২১ সালে ইস্টেবঙ্গল জিতে নয় হারকিউলিস কাপ।
হারকিউলিস কাপ, শচিন শিল্ড, ট্রেডস কাপ, গিরিজা শিল্ড ও কোচবিহার কাপ। জন্মের পরের বছরেই এমন চোখজোড়া সাফল্য শুধু ইস্টবেঙ্গলের ঝুলিতেই রয়েছে। একটা সময় ইস্টবেঙ্গল জিতলে মোহন সমর্থকের বাড়িতে পৌঁছাতো ইলিশ মাছ। কোনও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকই মোহনবাগানির বাড়িতে সেই ভেট পৌঁছে দিতে। তেমনভাবে মোহনবাগান জিতলে বাগান সমর্থক নিজে হাতে করে বন্ধু ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের বাড়িতে দিয়ে আসতেন চিংড়ি মাছ। কলকাতার মাঠে যেদিন লাল-হলুদ জয়োল্লাস করত সেদিন বাজারে ছেয়ে যেত ইলিশে। একইভাবে সবুজ-মেরুন আবেগে বাঙালি মেতে উঠলে চারিদিকে শুধু চিংড়ির ছড়াছড়ি। সেসব দিন ছিল। ১৯৭৫-সালে মরশুমের লীগে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ৫ গোল খায় মোহনবাগান। সেদিন বহুক্ষণ ক্লাব তাঁবুতেই থেকে গিয়েছিল সমর্থকরা। চোখে জল অপমানে ফুঁসছিল। আবার ১৯৮০-র ১৬ আগস্ট ইস্ট-মোহন ম্যাচ ইডেনে অনুষ্ঠিত হল। বাংলার ফুটবলের ইতিহাসে একটা কালোদিন। স্টেডিয়ামের ডি ব্লকে দর্শকদের ভিড় বেড়ে যায়। ভিড়ের চাপে মারধর হাতহাতি পদপিষ্ট হয়ে ১৬ জন ফুটবল সমর্থকের প্রাণ কেড়েছিল সেই ম্যাচ। এমন অভিশপ্ত দিন যেন আর কখনওই ফিরে না আসে। চলছে আইএসএল, অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের ভিড়েও বাঙালি কিন্তু ওটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচের সময় গুনছে। ঘটি বাঙালের এই পায়ে পায়ে যুদ্ধ কখনওই জনপ্রিয়তায় খাটো হবে না।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)