Chetan Sharma Sting Operation: ইঞ্জেকশন নিয়ে ফিটনেস টেস্ট পাস! সৌরভ- বিরাটের 'ইগো'র লড়াই, ড্রেসিং রুমের নানা বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন প্রধান নির্বাচক
"যখন খেলোয়াড় একটু বড় হয়ে যায়, তখন তার মনে হয় যে সে অনেক বড় হয়ে গেছে.। তিনি বোর্ডের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছেন। তখন তার মনে হয়, কেউ তার কিছু করতে পারবে না। আমি না থাকলে ভারতে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে। কখনও হয়েছে? অনেক বড় বড় লোক এসেছিল, গেছে। ক্রিকেট তো আগের মতোই আছে।"
নয়াদিল্লি, ১৫ ফেব্রুয়ারি:ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা (Chetan Sharma) বলেছেন, 'ভারতের অনেক ক্রিকেটারই ৮০ শতাংশ ফিট হলে ফিটনেস পরীক্ষায় পাস করার জন্য ইঞ্জেকশন নেন তিনি আরও যোগ করেন, ডোপিং থেকে বাঁচতে ক্রিকেটাররা স্মার্ট খেলে। এক চাঞ্চল্যকর স্টিং অপারেশনে ৫৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে বলতে শোনা যায়, ক্রিকেটের বাইরে ভারতীয় ক্রিকেটারদের নিজস্ব চিকিৎসক রয়েছে, যারা সব সময় তাদের জন্য উপলব্ধ। Jasprit Bumrah: অজি সিরিজে নামছেন না, বুমরা সোজা খেলবেন আইপিএলে
জি নিউজের স্টিং অপারেশনে তিনি বলেন, "যদি তারা মাত্র ৮৫% ফিট হয়, তারা আমাদের খেলতে দিতে বলে কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান তাদের অনুমতি দেয় না, এই সমস্যা আসে। খেলোয়াড় খেলতে চায়, খেলোয়াড় কখনও না করে না। তা না হলে ৮০% এই মানুষগুলো এরা এমন বদমাইশ, ওরা চুপিচুপি কোণে গিয়ে একটা ইনজেকশন নেয় এবং বলবে যে ওরা ফিট। তিনি আরও যোগ করেন, ব্যথানাশক নয়, তারা ইনজেকশন নেয়, কেউ জানতে পারে না। খেলোয়াড়কে পেইন কিলারের প্রেসক্রিপশন নিতে হবে এবং সে অ্যান্টি ডোপিংয়ে ধরা পড়বে, তারা সরাসরি জানে কোন ইনজেকশন অ্যান্টি ডোপিংয়ে আসবে না। তারা বড় বড় সুপারস্টার। তারা এক ফোন কল করবে। তিনি আরও বলেন, হাজারখানেক ডাক্তার আছেন, রাতে এসে ইনজেকশন দেবেন।"
কীভাবে এমন ঘটনা ঘটতে দিলেন জানতে চাইলে শর্মা বলেন, খেলোয়াড়দের ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা অসম্ভব। এই বিষয়ে বলেন, তারা ম্যাচ খেলে, সন্ধে ৬টা পর্যন্ত মাঠে থাকে, টিম ম্যানেজমেন্ট আছে। সব কিছু আছে। কিন্তু সব যখন শেষ হয়ে যায়। তারা বাস থেকে নেমে নিজের ঘরে ফিরে যায়। তিনি সবসময় তাঁদের ফলো করতে পারেন না। খেলেয়াড়রা কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কাদের সঙ্গে দেখা করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপর যোগ করেন, "আমারও একটা জীবন আছে। আমাকেও কোথাও যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাকে হাঁটতে হবে, ডিনারে যেতে হবে, প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু কাজ আছে।"
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই ভিডিওতে, প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মধ্যে 'ইগো'র দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচক, যা শেষ পর্যন্ত ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এই বিষয়ে তিনি জানান, "যখন খেলোয়াড় একটু বড় হয়ে যায়, তখন তার মনে হয় যে সে অনেক বড় হয়ে গেছে। সে বোর্ডের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে। তখন তার মনে হয়, কেউ তার কিছু করতে পারবে না। আমি না থাকলে ভারতে ক্রিকেট বন্ধ হয়ে যাবে। কখনও হয়েছে? অনেক বড় বড় লোক এসেছিল, গেছে। ক্রিকেট তো আগের মতোই আছে।"
দেখুন ভিডিও
তিনি (বিরাট) বলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কখনও আমাকে এই কথা বলেননি (ক্যাপ্টেনসি রোল পুনর্বিবেচনা করা নিয়ে)। তাই এটা একটা বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয় প্রেসিডেন্ট মিথ্যা বলেছেন, নয়তো বিরাট সত্যি কথা বলছেন। এটা একটা বড় ইস্যু হয়ে গেল, তারপর একটা হইচই শুরু হয়ে গেল। এটা 'ইগো'র লড়াই, বিরাট বলে আমি বড়, গাঙ্গুলি বলে আমি বড়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও দেশের অধিনায়ক হয়েছেন। অনেক বড় অধিনায়ক, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য এবং তাকে আজও সবচেয়ে সফল অধিনায়ক বলা হয়। বিরাট নিজেকে সবচেয়ে সফল বলে মনে করছে, সে (বিরাট) বলেছে যে সে (গাঙ্গুলি) মিথ্যা বলছে। তিনি আরও বলেন, 'এরপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।