লস্কর-ই-তৈবার কট্টর জঙ্গি রাজানুল্লা নিজামনি (Lashkar-e-Taiba Terrorist Razaullah Nizamani) ওরফে আবু সইউল্লার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজের গুলিতে মারা পড়েছে৷ ২০০৬ সালের মে মাসে আরএসএসের সদর দফতরে হওয়া জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল এই রাজানুল্লা ৷

নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গেছে খালিদ ২০০০ সালের গোড়ার দিকে নেপাল থেকে লস্কর-ই-তৈবার সন্ত্রাসবাদী অভিযানের নেতৃত্ব দিত।সেইসময় বিনোদ কুমার, মহম্মদ সেলিম এবং রাজাউল্লাহ সহ বিভিন্ন ছদ্মনামে সে তাঁর কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে। ভারতে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলাতেও সে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। ২০০৬ সালে নাগপুরে আরএসএসের সদর দফতরে হামলা চালিয়েছিল তিন জঙ্গি ৷ নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতায় তিনজনকেই নিকেশ করা সম্ভব হয়েছিল ৷ তদন্তে জানা যায় হামলার পরিকল্পনা করেছিল রাজানুল্লা ৷ এর পাশাপাশি ভারতে হওয়া আরও বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিল এই রাজানুল্লা ৷ তার মধ্যে অন্যতম ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটউট অফ সায়েন্সের জঙ্গি হামলা ৷ সেই ঘটনায় এক অধ্যাপকের প্রাণ যায় ৷ এর পাশাপাশি ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের সিআরপিএফ ক্যাম্পের হামলার ঘটনাতেও মূল চক্রী হিসেবে এই জঙ্গির নাম উঠে এসেছে ৷

 

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এই কুখ্যাত জঙ্গির জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তানের সরকার ৷ এদিন কোনও একটি কারণে সে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ৷ সেই সময় রাস্তায় তার উপর অতর্কিতে হামলা চালায় তিনজন ৷ তাদের হাতে বন্দুক ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ এই তিনজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷

 

(টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না।)