শনিবার, তথ্যের অধিকার (Right To Information) আইনে দাবি করা হয়েছিল যে এপ্রিল ২০১৫ থেকে মার্চ ২০১৬ এর মধ্যে কারেন্সি নোট প্রেস, নাসিক দ্বারা ২১০ মিলিয়ন ৫০০টাকার নোট ছাপা হয়েছিল, যা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পৌঁছায়নি। সে টাকার পরিমাণও নেহাত কম নয়। ৮৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি! সব মিলিয়ে ৮৮,০৩২.০৫ কোটি টাকা।
তথ্যের অধিকার আইনে পাওয়া এই বিষয়টি জাতীয় অর্থনীতির নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ভল্টে নোটের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও। তবে রাতে এই দাবি খারিজ করে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, বিষয়টির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যে পরিমাণ নোট উধাও হওয়ার দাবি করা হয়েছে তা সঠিক নয়।
আরটিআই-এ প্রকাশিত তথ্যকে সম্পূর্ণ ভুল উল্লেখ করে রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কাছে যে সমস্ত নোট আসে, তার সম্পূর্ণ হিসাব থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়, “সম্প্রতিই সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং প্রেস থেকে ৫০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে পেরেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। আরবিআই জানাচ্ছে এই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুল।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে এই বিভ্রান্তির সাফাই দিয়ে আরও জানানো হয়েছে যে আরবিআই নিয়মিত এই সংক্রান্ত নানা তথ্য প্রকাশ করে। তাই সাধারণ মানুষ যেন ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্যের জন্য রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের উপরই ভরসা করেন।রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে, নোট ছাপানো, সংগ্রহ ও বন্টনের গোটা প্রক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে হয়। এর একটি কড়া প্রোটোকল বা নিয়ম রয়েছে, তা সর্বদা পালন করা হয়।
Clarification on Banknote pic.twitter.com/PsATVk1hxw
— ReserveBankOfIndia (@RBI) June 17, 2023
(টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না।)