টিভির লাইভ শো-তে মল্ল যুদ্ধ, শাসকদলের নেতার ধাক্কায় পড়ে গেলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি ব্যাপারটা কী?
পাকিস্তানে শোরগোল।
ইসলামাবাদ, ২৫জুন: সাংবাদিকের একের পর এক প্রশ্নের জবাব দিতে ভাল লাগেনি, তাই হাত থাকতে মুখে কেন-র প্রবাদ সত্যি করে লাইভ টিভি-শোয়ে কুস্তিতে মেতে উঠলেন এই নেতা। পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা মাসরুর আলি সিয়াল (Dr Masroor Ali Sial)। তাঁর উল্টোদিকে ছিলেন করাচি প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমতিয়াজ খান (Karachi Press Club president Imtiaz Khan Farhan)। দুই মানি মানুষের এমন মল্লযুদ্ধের লাইভ দেখে টিভি চ্যানেলর সামনে দর্শকের ভিড় বাড়তে থাকে। অনুষ্ঠানের টিআরপি-ও চড়চড়িয়ে বেড়া যায়। এহেন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হলে ভাইরাল হবে, এ আর আশ্চর্যের কী। আরও পড়ুন-সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে ২০০ কোটির বিয়ে, নেচে আসর মাতালেন ক্যাটরিনা কাইফ
জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের একটি নিউজ চ্যানেলে নিয়মিত লাইভ শোহয়, শোয়ের নাম ‘নিউজ লাইন উইথ আফতাব মুঘেরি’ (“News Line with Aftab Mugheri”)। সেখানেই আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল পাকিস্তানের শাসকদল তেহেরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই)– এর নেতা মাসরুর আলি সিয়াল ও করাচি প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ইমতিয়াজ খানকে। আলোচনা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কিছুক্ষণের মধ্যেই। এমন সময় হঠাৎই দেখা যায় মাসরুর আলি সিয়াল পাশেই বসা ইমতিয়াজ খান–কে আঙুল তুলে শাসানির ভঙ্গিতে বলছেন, ‘আমি এই জিনিস কখনও বরদাস্ত করি না।’ উত্তরে প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্টও চিৎকার করে কিছু একটা বলেন। সঙ্গে সঙ্গে পিটিআই নেতা চেয়ার ছেড়ে চড়াও হন প্রতিপক্ষের উপর। ইমতিয়াজ খানকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া এবং তার পরমুহূর্তে ইমতিয়াজ খানের উঠে পড়ে মাসরুর আলি সিয়ালকে জাপটে ধরা পর্যন্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ে। কিন্তু মূল মারামারিটি হয় ক্যামেরার ফোকাসের বাইরে। সঞ্চালক একপাশে সরে দাঁড়ালেও স্টুডিওয় থাকা অন্যরা ছুটে আসেন এবং দু’পক্ষকেই নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন। পরে দুজনেই আবার এসে ক্যামেরার মুখোমুখি হলেও তাঁদের এমন ‘যুক্তির প্রতি আস্থাশীল’ বিতর্কের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায় মুহূর্তের মধ্যে।
টিভি’র লাইভ শো (TV debate) চলাকালীন রাজনৈতিক নেতাদের এমন আচরণ অস্বাভাবিক হলেও অভিনব কিছু নয়। ইউরোপ বা আমেরিকায় এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। আমাদের দেশেও কয়েকদিন আগে দুই রাজনৈতিক নেতা তর্ক করতে করতে মেজাজ হারিয়ে জল ছোঁড়াছুঁড়ি করেছিলেন। শেষে গ্লাস ছোঁড়া, গ্লাস ভাঙা সবই ঘটেছিল ক্যামেরার সামনে। এইসব ঘটনায় রাজনৈতিক বা সামাজিক ভাবে যাঁরা সুপ্রতিষ্ঠিত, তাঁদের ভাবমূর্তি কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেটি গবেষণার বিষয় হলেও টিভি অনুষ্ঠানটির টিআরপি যে একলাফে বেড়ে যায় সে বিষয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)