Goddess Kali Called ‘Sexy’ by Canadian-Iranian Activist: মা কালীকে 'সেক্সি' বলে টুইট করে নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কানাডিয়ান-ইরানিয়ান সমাজকর্মী,টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

মা কালীকে 'সেক্সি' বলায় নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কানাডিয়ান-ইরানিয়ান সমাজকর্মী আরমিন নাভাবিকে। তিনি একজন নাস্তিক এবং লেখক। তিনি টুইটারে মা কালীর একটি অ্যানিমেটেড ছবি শেয়ার করে লেখেন,'আমি হিন্দু ধর্মকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি জানতাম না আপনাদের কোনও "সেক্সি ভগবান"-ও রয়েছে। কেন অন্য কেউ অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে?' এই মন্তব্যের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।

মা কালী Representational Image (Photo Credits: File Image)

মা কালীকে (Goddess Kali) 'সেক্সি' বলায় নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় কানাডিয়ান-ইরানিয়ান সমাজকর্মী আরমিন নাভাবিকে (Armin Navabi)। তিনি একজন লেখক এবং নাস্তিক । তিনি টুইটারে মা কালীর একটি অ্যানিমেটেড ছবি শেয়ার করে লেখেন,'আমি হিন্দু ধর্মকে ভালোবেসে ফেলেছি। আমি জানতাম না আপনাদের কোনও "সেক্সি ভগবান"-ও রয়েছে। কেন অন্য কেউ অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে?' এই মন্তব্যের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা।

জানা যায়, এই সমাজকর্মী একটি অনলাইন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। সংস্থাটি অনলাইন মুক্তচিন্তার সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত জেক নাস্তিক প্রজাতন্ত্র বলা হয়। প্রথমত, ছবিটি মা কালীর একটি অ্যানিমেটেড ছবি। দ্বিতীয়ত, তিনি মা কালীকে 'সেক্সি' বলে ব্যাখ্যা করেছেন, এতেই ক্ষুব্ধ হন নেটিজেনরা। ক্রমেই এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর টুইটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আরও পড়ুন, ভেতর বড্ড গরম, হাওয়া খেতে প্লেনের ডানায় পায়চারি মহিলা যাত্রীর!

কালী বা কালিকা হলেন একজন হিন্দু দেবী। তার অন্য নাম শ্যামা বা আদ্যাশক্তি। প্রধানত শাক্ত সম্প্রদায় কালীপূজা করে থাকে। তন্ত্র অনুসারে কালী দশমহাবিদ্যা-র প্রথম দেবী। শাক্তমতে কালী বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি কারণ। বাঙালি হিন্দু সমাজে কালীর মাতৃরূপের পূজা বিশেষ জনপ্রিয়।

পুরাণ ও তন্ত্র সাহিত্যে কালীর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। এগুলি হল-দক্ষিণাকালী(শ্যামা),মহাকালী,শ্মশানকালী গুহ্যকালী, ভদ্রকালী, সিদ্ধকালী, আদ্যাকালী, চামুন্ডাকালী।

হিন্দুদের দেবীর অপব্যাখ্যা করেছেন আরমিন নাভাবি, ক্ষোভ উগরে দিয়ে ছবিটি মুছে দিতে অনুরোধ করে নেটিজেনরা। টুইটারের কমেন্টের উত্তর দিতে তাঁকে দেখা যায়নি, এমনকি টুইটার হ্যান্ডেলটিও বহাল রয়েছে। অভিযোগ ইতিমধ্যে দায়ের করা হয়ে গেছে। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।



@endif