দুবাইতে এক লটারিতেই কোটিপতি, টাকা পেয়ে জন্মভূমির বন্যাদুর্গতদের সাহায্য করবেন কেরালার যুবক
এক লটারিতেই ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। তবে কোটিপতি হওয়ার খবরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হননি যুবক। প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও পরে প্রামাণ্য নথি হাতে পেতেই জন্মভূমির বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে লটারি থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করতে চান তিনি। খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাই না, এই যুবক কে? দুবাইয়ে বসবাসকারী কেরলিয়ান যুবক পি আর রথীশ কুমার।
দুবাই, ৩১ মে: এক লটারিতেই ঘুরে গেল ভাগ্যের চাকা। তবে কোটিপতি হওয়ার খবরে আঙুল ফুলে কলাগাছ হননি যুবক। প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও পরে প্রামাণ্য নথি হাতে পেতেই জন্মভূমির বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে লটারি থেকে প্রাপ্ত অর্থ খরচ করতে চান তিনি। খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাই না, এই যুবক কে? দুবাইয়ে বসবাসকারী কেরলিয়ান যুবক পি আর রথীশ কুমার। গত দুবছর ধরে দুবাই ডিউটি ফ্রি ব়্যাফেল লটারি কাটলেও তাঁর ভাগ্যে এই প্রথম শিকে ছিঁড়ল।
জানা গিয়েছে, প্রায় একদশক ধরে কর্মসূত্রে সস্ত্রীক দুবাইতেই বসবাস করছেন রথীশ কুমার। সেখানকার একটি বেসরকারি ফার্মের অ্যাকাউন্ট্যান্ট পদে কর্মরত ওই যুবক প্রায়ই ভাগ্য ফেরানোর জন্য উপায় খুঁজে বেড়াতেন। বছর দুয়েক আগে আচমকাই তাঁর মনে হয়, লটারি কাটলে যদি একদিন কোটিপতি হয়ে যান তবে তাতে ক্ষতি তো নেইই বরং লাভ আছে। যেমন ভাবা তেমনি কাজ, তখন থেকেই দুবাইয়ের ডিউটি ফ্রি ব়্যাফেল লটারি কাটা শুরু। প্রথমদিকে আগ্রহ ভরে ফলাফলের অপেক্ষা করতেন, বেশ কয়েকবার তেমন কোনও সুখবর না পেয়ে আর আগ্রহ দেখাননি।
গত ২ এপ্রিল ফের লটারি কাটেন তিনি, তারপর ভুলেই গিয়েছিলেন। আচমকাই গত বুধবার ব়্যাফেল লটারি সংস্থা থেকে তাঁকে জানানো হয়, দুবাই ডিউটি ফ্রি লটারি থেকে তিনি প্রথম পুরস্কার জিতেছেন, পেয়েছেন সাত কোটি টাকা। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি, পরে লটারি সংস্থার তরফে তাঁকে বার বার ফোন করা হলে তিনি নিশ্চিত হন। তবে টাকা পেয়েই তাঁর দেশের কথা মনে পড়েছিল। গতবছর ভয়াবহ বন্যায় বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে জন্মভূমি কেরালা। তিনি কেরালার কোট্টায়ামের বাসিন্দা। স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে মনস্থির করে ফেলেন পুরস্কারের টাকা বন্যাদুর্গতদের উন্নতিকল্পে খরচ করবেন। ছেলের এই সিদ্ধান্তে খুশি রথীশের পরিবার। প্রবাসে থেকেও যে জন্মভূমির বিপর্যয়ে তাঁর প্রাণ কাঁদে এতে তাঁরা অভিভূত।
এই প্রসঙ্গে রথীশ বলেন, যা উপার্জন করি তাতে ভালভাবেই সংসার চলে যায়। বন্যার পর দুর্গতদের জন্য বেশ কয়েকবার আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়েছি। এবারও সেই বন্যাদুর্গতদের স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যেই টাকাটা ব্যয় করবেন।