Vijay Diwas 2024: প্রতিটি ভারতীয়র জন্য ১৬ ডিসেম্বর একটি বিশেষ দিন, জেনে নিন বিজয় দিবসের ইতিহাস এবং গুরুত্ব...
প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর ভারতে পালন করা হয় বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছিল ভারত। এই জয়ের কারণেই নিজস্ব অস্তিত্ব পেয়েছে বাংলাদেশ। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা এই যুদ্ধে জীবন হারিয়েছিল অনেক ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং বাংলাদেশী মুক্তিবাহিনী। এই যুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বীর সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর পালন করা হয় বিজয় দিবস।
দেশভাগের পর পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, যা বর্তমানে বাংলাদেশ নামে পরিচিত। পাকিস্তান পূর্বাঞ্চলে গণহত্যা, ধর্ষণ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব সীমা অতিক্রম করে গিয়েছিল। এই কারণে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবার সেখানকার জনগণ স্বাধীনতা দাবি করলেও তার ওপর দমননীতি গ্রহণ করে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় মানবতার স্বার্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে ভারত, যা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরিণত হয়।
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৩ দিন স্থায়ী থাকে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশী মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই যুদ্ধের শেষে, আনুমানিক ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করে, যা ইতিহাসের যেকোনও যুদ্ধে সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণ বলে বিবেচিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আত্মসমর্পণপত্রে স্বাক্ষর করেন জেনারেল নিয়াজি। আত্মসমর্পণের নথিতে স্বাক্ষর করার সময়, নিজের রিভলভারটি জেনারেল অরোরার হাতে তুলে দেন নিয়াজি।
এই যুদ্ধের পর, বাংলাদেশকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে একটি নির্ধারক ভূমিকা পালন করেছিল ভারত। ১৬ ডিসেম্বরের দিনটি ভারতের সামরিক শক্তি ও কূটনৈতিক নেতৃত্বের প্রতীক। বীর সৈনিক এবং বেসামরিক ব্যক্তি, যারা যুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পালন করা হয় এই দিনটি। এই দিনে, ভারতের সামরিক স্থাপনায় কুচকাওয়াজ এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং সৈন্যদের অদম্য সাহসকে স্যালুট জানানো হয়।