Unknown Facts About Netaji Subhas Chandra Bose: নেতাজির বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য, যা না জানলেই নয়
‘জয় হিন্দ’ ভারতের জনপ্রিয় স্লোগান গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই স্লোগান সর্বপ্রথম নেতাজির গলায় উচ্চারিত হয়েছিল।
পরাধীন ভারতকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করতে নিজেকে দেশের সেবায় নিয়োগ করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু (Netaji Subhas Chandra Bose)। দেশের অন্যতম জাতীয়তাবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী তিনি। ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশ্যে উদ্যত কণ্ঠে দাক দিয়েছিলেন ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা এনে দেবো’। ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রাধীন ভারতকে স্বাধীন করতে তিনি যোগ দেন জাতীয় কংগ্রেসে। ২০ বছর জাতীয় কংগ্রেসে কাজ করেছেন তিনি। দেশ স্বাধীনে দেশবাসীকে উদ্ভুত করতে তিনি ‘স্বরাজ’ নামে এক সংবাদপত্র বের করেন। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়তে তিনি গঠন করেন ‘আজাদ হিন্দ বাহিনী’। নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ‘পরাক্রম দিবস’এর মাহাত্য
ছেলেবেলা থেকেই অদ্ভুত এক সাহস ছিল তাঁর মধ্যে। যা তাঁর বয়সি অন্যান্য ছেলেদের মধ্যে কখনওই আশা করা যায়না। কলেজের অধ্যাপকের বিরোধিতা করার মত দুঃসাহস দেখায় সে। সেই কারণে কলেজ থেকে বিতারিতও করা হয়েছিল নেতাজিকে। কিন্তু তাও দমানো যায়নি সুভাষকে। ইংরেজদের বিরুদ্ধে জারি রেখেছিলেন নিজের লড়াই, দেশের লড়াই।
নেতাজীর বিষয়ে কিছু অজানা তথ্য
১) ১৪ জন ভাইবোনের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন সুভাষ চন্দ্র। রামকৃষ্ণ দেব এবং স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা তিনি ভীষণ ভাবে উদ্বুদ্ধ ছিলেন।
২) ছোটবেলায় তাঁর কলেজের এক অধ্যাপক কিছু জাতীয়তাবাদী মন্তব্য করে। ভারতী ছাত্রদের নীচু চোখে দেখা এবং তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার জেরে অধ্যাপক ওটেনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন তিনি। সেই কারণে প্রথবারের জন্যে কলেজ থেকে বিতারিত করা হয়েছিল সুভাষকে।
৩) ছেলেবেলা থেকেই পড়াশুনায় ছিল তাঁর সাংঘাতিক আগ্রহ। ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করেন তিনি।
৪) জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে দুবার নির্বাচিত হন তিনি।
৫) এমিলি শেঙ্কেল নামে এক অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত মহিলাকে বিবাহ করেন নেতাজি। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নাম অনিতা বোস। জার্মানির এক বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ নেতাজী কন্যা।
৬) ‘জয় হিন্দ’ ভারতের জনপ্রিয় স্লোগান গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই স্লোগান সর্বপ্রথম নেতাজির গলায় উচ্চারিত হয়েছিল।
৭) গান্ধীজির অহিংসা আন্দোলনের পক্ষপাতী নেতাজি কখনই ছিলেন না। তিনি মনে করতেন, দেশ স্বাধীন করতে কিংবা দেশ থেকে ইংরেজদের বিতারিত করতে সহিংস প্রতিরোধের পথই বেছে নিতে হবে।
৮) নেতাজির মৃত্যু রহস্য আজও মানুষের কাছে অজানা। বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু বহু মানুষই মানতে নারাজ। তবে বলা হয় ১৯৪৫ সালে ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির।