Bhoot Chaturdashi 2022: ভূত চতুর্দশীতে কোন ১৪ রকমের শাক খাবেন? কেন জ্বালাবেন ১৪ প্রদীপ? রইল বিস্তারিত কারণ

ভূত চতুর্দশীর বাঙালিরা দুপুরে ১৪ শাক খায়,এই নির্দিষ্ট ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে সজনে,পলতা,সরষে,গুলঞ্চ,ভাটপাতা,শুলফা, হেলঞ্চ,ওল,বেথুয়া, কালকাসন্দি,শুষনি,জয়ন্তী নটে

Bhoot Chaturdashi Wishes (Photo Credit: File Photo)

দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব, ভালোর উৎসব। সমস্ত অন্ধকার, অশুভের বিনাশ করতে আরাধনা করা হয় শক্তির। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে পূজিত হন মা কালী, তার ঠিক আগের রাতেই বাঙালিরা পালন করেন ভূত চতুর্দশী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এর বিভিন্ন নাম রয়েছে। কেও বলেন নরক চতুর্দশী, কেও বলেন রূপ চৌদাস আবার কেও বলেন ছোটি দিওয়ালি।

ভূত চতুর্দশীর বাঙালিরা দুপুরে ১৪ শাক খায়,এই নির্দিষ্ট ১৪ শাকের মধ্যে রয়েছে সজনে,পলতা,সরষে,গুলঞ্চ,ভাটপাতা,শুলফা, হেলঞ্চ,ওল,বেথুয়া, কালকাসন্দি,শুষনি,জয়ন্তী নটে। তবে এই ১৪ রকমের শাক একসঙ্গে পাওয়া দুষ্কর বলে, অনেকেই এগুলির সবগুলি একযোগে না পেলেও মোট ১৪ রকমের শাক খেয়ে থাকেন। পুরাণ বলছে ১৪ পুরুষকে তুষ্ট করতে এই শাক খাওয়া হয়। বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা বলছে এই সময় ঋতুপরিবর্তনের কারণে নানা অসুখ বিসুখ হয়ে থাকে, এই ১৪ শাক খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।গীতা অনুযায়ী, মৃত্যুর পর মানবশরীর পঞ্চভূতে বিলীন হয়— অর্থাৎ মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি ও আকাশ। তাই মাটি থেকে তুলে আনা শাক খেলে অতৃপ্ত আত্মার রোষানলে পড়তে হয় না। যে জল দিয়ে ১৪ শাক ধোয়া হয়, সেই জলটি আবার বাড়িতে ছেটানোর প্রথাও প্রচলিত। বলা হয়, এর ফলে অশুভ শক্তি দূর হয় ও বাধা-বিঘ্ন কেটে যায়।

ভূত চতুর্দশীর সন্ধ্যেয় ১৪ প্রদীপ জ্বালায়৷ মনে করা হয় এই রাতে ১৪ পুরুষকে বাতি দিতেই প্রদীপ জ্বালানো হয়। এছাড়াও অশুভ কোনও শক্তি যাতে ধার না ঘেঁষতে পারে, অথবা অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রদীপ জ্বালিয়ে যম তাড়ানো হয় বলেও প্রচলিত রয়েছে লোক মুখে। পূরাণ মতে, এই দিনে স্বর্গ ও নরকের দ্বার কিছু সময়ের জন্য খুলে যায়। একই সঙ্গে বিদেহী আত্মা এবং স্বর্গত ব্যক্তিরা নেমে আসেন পৃথিবীতে, ভিটেয় আলো দেখলে তাঁরা সন্তুষ্ট হন বলেও রয়েছে বিশ্বাস।