Drinking Water Intake Calculator: সুস্থ থাকার জন্য অতিরিক্ত জল পান করেন? কিন্তু অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়, এই সংকেত গুলির সাহায্যে মেপে নিন শরীরে জলের পরিমাণ..
সুস্থ থাকার জন্য, প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয় আমাদের। জল পানের উপকারিতা আমরা সবাই জানি, কিন্তু কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনই বেশি জল পান করলেও ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত জল পান করলে অনেকের স্বাস্থ্যের অবনতি হতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে বুঝবেন যত পরিমাণ জল পান করা হয় তা শরীরের জন্য যথেষ্ট নাকি বেশি? শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়, যা আমরা উপেক্ষা করি, যার ফলে পরবর্তী সময়ে আমাদের ক্ষতি হতে পারে।
অতিরিক্ত জল পান করলে জল বিষক্রিয়ার শিকার হতে পারে। এই অবস্থায় মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। অত্যধিক জল পান করার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলিতে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়, যার ফলে কোষগুলি ফুলে যায় এবং মস্তিষ্কে চাপ পড়তে শুরু হয়। এমন অবস্থায় প্রচন্ড মাথা ব্যাথা হতে পারে এবং কোনও কাজে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়লে হৃদস্পন্দন কমতে শুরু করে এবং রক্তচাপ বেড়ে যায়। শরীরে অতিরিক্ত জলের কারণে ঘাটতি দেখা দেয় সোডিয়ামের, যার ফলে হাইপোনেট্রেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সোডিয়াম আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি, শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে শরীরের কোষগুলি ফুলে যেতে পারে। সমস্যা বৃদ্ধি পেলে মানুষ কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
এই সংকেতের মাধ্যমে বোঝা যাবে শরীরে জলের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে:
১. কমবেশি জল পান করার ফলে প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হয়। বেশি জল পান করলে প্রস্রাবের রং পরিষ্কার দেখা যায় এবং শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে প্রস্রাবের রঙ হালকা হলুদ হতে শুরু করে।
২. স্বাভাবিকের থেকে বেশি প্রস্রাব হলে বুঝে নিতে হবে শরীরে জলের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। একজন সাধারণ মানুষ দিনে ৬-৮ বার প্রস্রাব করেন, তবে খুব বেশি মদ্যপ বা ক্যাফেইন পান করলে, ১০ বার প্রস্রাবও স্বাভাবিক হবে।
৩. অতিরিক্ত জল পান করলে কিডনির ওপর চাপ পড়ে, যার জেরে শরীর থেকে অতিরিক্ত তরল বের হতে পারে না। এমন অবস্থায়, শরীরে তরল জমতে শুরু করে, যার কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হয়। এছাড়া সারাদিন ক্লান্তি বোধ হতে পারে।
৪. বেশি জল পান করলে প্রায়শই শরীরে ফোলাভাব সহ ব্যথা অনুভব হতে পারে। এছাড়া শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যায় এবং ব্যথাও শুরু হয়।