Laptop Affecting Your Fertility? পুরুষরা সাবধান, ল্যাপটপ বেশি ব্যবহার করছেন না তো? হারাতে পারেন প্রজনন ক্ষমতা

বেশি সময় ধরে কোলে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হয়। শুক্রাণু গঠনের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা শরীরের মূল তাপমাত্রার চেয়ে সামান্য কম। অণ্ডকোষের কাছাকাছি ল্যাপটপের দীর্ঘায়িত ব্যবহার উচ্চ তাপমাত্রার কারণ হতে পারে। যার জেরে পুরুষের শরীরে এই প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হতে পারে বলে মনে করা হয়।

Laptop (Photo Credit: Pixabay)

বর্তমান যুগে ল্যাপটপ (Laptop)  একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। চাকরি থেকে ব্যবসা, প্রায় সর্বক্ষেত্রে ল্যাপটপ নিয়েই কাজ করতে বসেন বহু মানুষ। কিন্তু ল্যাপটপের ব্যবহারে যে পুরুষের ফার্টিলিটি বা প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ছে, তা কি জানেন? ল্যাপটপের ব্যবহারে পুরুষের শরীরে শুক্রানু উৎপাদনে (Fertility) প্রভাব পড়ছে। শুনতে অবাক লাগলেও, এবার এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে আসেছে একাধিক গবেষণার জেরে।

বর্তমানে জীবন প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়েছে। প্রযুক্তি যত এগোচ্ছে, তার প্রভাব মানুষের শরীরের উপরও পড়তে শুরু করেছে। যার জেরে দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহারের জেরে পুরুষের (Man) ফার্টিলিটি অর্থাৎ প্রজনন ক্ষমতার উপর প্রভাব পড়ছে।

দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে শরীরের ঝুঁকি বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করা, বিশেষ করে কোলে রেখে ব্যবহার করলে, তা  পুরুষের ফার্টিলিটির উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা (Doctors)।  ল্যাপটপ এবং মোবাইল (Mobile) ফোন থেকে উৎপাদিত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্ষেত্র নির্গত হয়। যা বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনাকে আরও জোরদার করতে পারে৷ এই এক্সপোজারের কারণে স্ক্রোটাল হাইপারথার্মিয়াও হতে পারে বলে আশঙ্কা। তাপমাত্রার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ডিএনএর ক্ষতি হতে পারে। যার জেরে পুরুষের শরীরে উৎপাদিত শুক্রানুর মান ক্রমশ নীচে নামতে পারে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন।

এটি পুরুষের শরীরের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা হ্রাস করতে পারে। যার জেরে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে শুরু করে। এমন আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

সেই কারণে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন কিন্তু সাবধানে। এমনই মনে করেন চিকিৎসকরা। ঝুঁকি এড়াতে ডেস্কে ল্যাপটপ ব্যবহার করা বা কুলিং প্যাড ব্যবহার করা উচিত। যা অণ্ডকোষের তাপমাত্রা যাতে বৃদ্ধি না পায়, তার চষ্টা করে। কাজের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে বার বার বিরতি নিতে হবে বলেও মনে করছেন চিকিৎসক এবং গবেষকরা।