Covishield Vaccine Side-effects: কোভিশিল্ড নেওয়া মানুষের কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে? ভ্যাকসিনের রহস্য প্রকাশ করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা...
২০২০ সালে, কোভিড ১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এবং এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর হার রোধ করার জন্য, বিশ্বের ওষুধ কোম্পানিগুলি শুরু করে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করার চেষ্টা। যার মধ্যে দুটি কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনের উপর আস্থা দেখিয়েছিল ভারত। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ব্রিটেনের ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং অন্যটি হল ভারত বায়োটেকের দেশীয় কোম্পানি। ২০২২ সালের মধ্যে ১.৭ বিলিয়ন মানুষকে দেওয়া হয় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন, যা কোভ্যাক্সিনের থেকে বহুগুণ বেশি কার্যকর।
কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা উঠলেও সংস্থাটি এটিকে কোনও দিন মারাত্মক বলে মনে করেনি। সম্প্রতি অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতের সামনে স্বীকার করেছে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের রয়েছে একটি বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যার কারণে মৃত্যুও হতে পারে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন যারা নিয়েছে তাদের TTS হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। TTS-এর পুরো নাম হল থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম। এর ফলে শরীরের রক্ত ঘন হয়ে জমাট বাঁধতে শুরু করে। ভয়ের বিষয় হল রক্ত জমাট প্রধানত মস্তিষ্ক ও পাকস্থলীতে হয়।
TTS-এর ফলে তীব্র বা ক্রমাগত মাথাব্যথা ও বুক ব্যাথা হতে পারে, দৃষ্টি ঝাপসা ও নিঃশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পা ফুলে যাওয়া এবং অবিরাম পেট ব্যথা হতে পারে। এছাড়া ত্বকে সহজে ক্ষত বা ছোট রক্তের দাগ দেখা দিতে পারে। আমেরিকান সোসাইটি অফ হেমাটোলজি অনুসারে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ৪-৪২ দিনের মধ্যে যদি শ্বাসকষ্ট, প্রচণ্ড মাথা পিঠ পেটে ব্যথা, চোখের সমস্যা, সহজে ক্ষত বা রক্তপাত, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, পায়ে ব্যথা বা পা ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়, তাহলে এটি হতে পারে TTS-এর লক্ষণ। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের ক্ষতি করার মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এই TTS।