Ayodhya Verdict: আগামীকালই অযোধ্যা মামলার রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি
অযোধ্যা মামলা (Ayodhya Land Dispute Case) নিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি হবে আগামীকালই। এমনটাই জানা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, এই মামলার শুনানি হবে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে বন্ধ দরজায়। খোলা আদালতে শুনানি হবে না। মোটামুটিভাবে ১০ টি পুনর্বিবেচনার মামলা দায়ের হয়েছে এই প্রসঙ্গে।
নতুন দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: অযোধ্যা মামলা (Ayodhya Land Dispute Case) নিয়ে দায়ের করা মামলার শুনানি হবে আগামীকালই। এমনটাই জানা গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফে। সাধারণ নিয়মানুযায়ী, এই মামলার শুনানি হবে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে বন্ধ দরজায়। খোলা আদালতে শুনানি হবে না। মোটামুটিভাবে ১০ টি পুনর্বিবেচনার মামলা দায়ের হয়েছে এই প্রসঙ্গে।
সমস্ত মামলাকারীরাই জোর দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা শান্তি বিঘ্নিত করতে চান না। মুসলিম মামলাকারীরা বলেছেন, মামলার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাঁরা সবসময়েই শান্তি চান। তবে তাঁরা সবসময়েই হিংসা ও অন্যায্যতার শিকার হন। এই পুনর্বিবেচনার আর্জি তাঁদের বিচারের অভীষ্ট লক্ষেই বলেও জানিয়েছেন মুসলিম মামলাকারীরা। যাদের মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনেল ল বোর্ড এবং নির্মোহি আখরাও। এছাড়াও ৪০ টি নাগরিক অধিকার কর্মীও মামলা দায়ের করেছেন, তবে তাঁরা মূল মামলার অংশ ছিলেন না। আরও পড়ুন: Assam: অশান্তির আগুন জ্বলছে অসমে, গুয়াহাটি বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালকে
গত ৯ নভেম্বর, অযোধ্যা মামলার রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। অবসর নেওয়ার আগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ রায় দেয় অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমির সবটাই রামলালাকে দেওয়ার। পাশাপাশি মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যায় “উপযুক্ত, ভাল জাগায়” সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। নির্মোহি আখরা, জানিয়েছে, তাঁদের ভূমিকা নিয়ে খোঁজখবর করছে তারা। এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, ট্রাস্টে আখরার তরফে “উপযুক্ত প্রতিনিধি” রাখার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই জায়গায় মন্দির নির্মাণের দেখভাল করবে ওই ট্রাস্ট। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্ট বলে, মসজিদ নির্মাণের আগে সেখানে অন্য নির্মাণ ছিল। তবে তা মন্দির কিনা, তার উল্লেখ পাওয়া যায়নি। ১,০৪৫ পাতার নির্দেশে, সুপ্রিম কোর্ট সহমত পোষণ করে জানায় মসজিদদের অধিকার থেকে অন্যায়ভাবে মুসলিমদের বঞ্ছিত করা হয়েছিল।