বাংলায় বিজেপির জয়রথকে রুখতে পাকা মাথার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করতে নবান্নেই চু্ক্তিবদ্ধ হলেন প্রশান্ত কিশোর।
কলকাতা, ৬জুন: ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদিকে দিল্লির মসনদে বসানোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) অন্যতম ক্যাম্পেন ম্যানেজার হিসেবে উঠে আসে তাঁর নাম৷ একইভাবে তাঁরই বদান্যতায় নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) কপালেও জয়তিলক ওঠে৷ নীতিশের জয়ে আশাবাদী অখিলেশ শিবির ২০১৬-তে প্রশান্ত কিশোরের শরণাপন্ন হন, কিন্তু এখানে ভাগ্যলক্ষ্মী অলক্ষ্যে হেসেছিলেন। তাই শিকে ছেঁড়ে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ভাগ্যে। এবার এহেন প্রশান্ত কিশোরকে (Prashant Kishor) নবান্নে ডেকে প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ৷
লোকসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা কমতেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেকের আমন্ত্রণ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন প্রশান্ত৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার কৌশল নিয়েও তাঁদের মধ্যে কথা হয় বলে খবর৷ নবান্নে সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে জেডিইউর এক প্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী মাস থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ করবেন প্রশান্ত৷ আগামী মাসের শুরুতেই প্রশান্তকে ফের রাজ্যে দেখা যেতে পারে৷ তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য নবান্নে বসেই প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে খবর৷
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি ও ২০১৫ সালে নীতিশ কুমারের হয়ে কাজ করার পাশপাশি ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছেন প্রশান্ত কিশোর৷ অখিলেশ যাদব ও রাহুল গান্ধীকে এক মঞ্চে নিয়ে আসেন প্রশান্ত৷ বেনারসে সোনিয়া গান্ধীর রোড শো করার পিছনে তাঁর ভূমিকা ছিল অন্যতম৷ যদিও উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সফলতা পাননি প্রশান্ত৷ তবে পাঞ্জাবে অমরিন্দর সিংহ জিতেছিলেন৷ এরপরে দক্ষিণ ভারতে কিছুদিন জগন রেড্ডির হয়ে কাজ করেন তিনি৷ তারপরে চলে যান বিহারে৷ এবার প্রশান্ত কিশোরের পাখির চোখ বাংলায়৷
জানা গিয়েছে, মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই কলকাতায় এসেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। নবান্নে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয় দু’জনের। দলীয় সূত্রে খবর, এই বৈঠকের পরই প্রশান্ত এবং তাঁর সংস্থাকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়েছেন মমতা। বৈঠকের পর দু’জনের হাবেভাবেও তেমনই বোঝা গিয়েছে।