কাশ্মীরিরা বকরি ইদে বাড়ি ফিরতে পারবেন, প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রথমেই কাশ্মীরিদের মন জয় করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরবাসীকে আগাম ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার ইদের দিনের আগেই বাসিন্দাদের প্রত্যেকে কাশ্মীরে ফিরতে পারবেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে থমকে আছে উপত্যকা।
দিল্লি, ৯ আগস্ট: জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রথমেই কাশ্মীরিদের মন জয় করতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মীরবাসীকে আগাম ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার ইদের দিনের আগেই বাসিন্দাদের প্রত্যেকে কাশ্মীরে ফিরতে পারবেন। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে থমকে আছে উপত্যকা। টিভি, টেলিফোন, মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবার নামগন্ধ নেই। তারপরেও ঠিক কজন কাশ্মীরি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ শুনতে পেলেন তানিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েই গেল। তবে ইদ পালনে উপত্যকায় ফিরতে পারবেন কাশ্মীরিরা, সরকার সেজন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেবে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী। আরও পড়ুন-‘ঈশ্বর যেন এমন প্রতিবেশী কাউকে না দেন’ , কাকে কী বললেন রাজনাথ সিং?
উল্লেখ্য, ইদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও তার রোডম্যাপ এখনও চূড়ান্ত করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যদিও মন্ত্রক সূত্রে খবর, কার্ফিউ শিথিল করা হবে। কিন্তু কতক্ষণের জন্য করা হবে, শুধু ইদের দিনই করা হবে, না কি ইদের আগের কেনাকাটার কথা মাথায় রেখে কার্ফিউ ঢিলে হবে, দিল্লি থেকে তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত নির্দেশ যায়নি। তবে কার্ফিউর কারণে রসদে যাতে টান না পড়ে, তার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানকোট থেকে বিমানে শ্রীনগরে পাঠানো হয়েছে। ইদে প্রবাসী কাশ্মীরিদের নিরাপদে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকও বৈঠক ডাকেন। এনিয়ে নির্ধারিত পদক্ষেপ করতে একাধিক অফিসারকে জেলা ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বলা বাহুল্য, ৩৭০ ধারার বিলোপ ঘটিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার কাশ্মীরিদের উন্নয়নের বার্তা গোটা দেশের পাশাপাশি বিশ্বেও পৌঁছাতে চাইছে। সেখানে ইদ পালনে বিঘ্ন ঘটলে সব মাঠে মারা যাবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। প্রথম ছিল ৩৭০ধারা, এখন ইদ হল মোদি সরকারের সবথেকে বড় মাথাব্যথার কারণ। ইদের সময় কার্ফিউ না-তুললে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। অন্য দিকে কার্ফিউ শিথিল করলে সেই সুযোগে বিক্ষোভ শুরু হতে পারে। এই দ্বন্দ্বের মুখে দাঁড়িয়েই আজ মুসলিমদের কাছে টানার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিনি স্বীকার করেছেন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের সাধারণ মানুষকে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষই তার মোকাবিলা করছেন। পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসবে, এই আশ্বাসও দিলেন।