IPL Auction 2025 Live

Ghazwa-E-Hind: পাকিস্তানের মদতপুষ্ট গজবা-ই-হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের খোঁজে তিনটি রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি NIA-এর

পাকিস্তানের মদতপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন গজবা-ই-হিন্দের সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে রবিবার বিহার, গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের মোট পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ।

ফাইল ফটো

নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের (Pakistan) মদতপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন গজবা-ই-হিন্দের (Ghazwa-e-Hind) সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে রবিবার বিহার (Bihar), গুজরাট (Gujarat) ও উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মোট পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি (raid) চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (National Investigation Agency)।

সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল থেকে বিহারের রাজধানী পাটনার (Patna) দু-জায়গা ও দ্বারভাঙ্গার (Darbhanga) এক জায়গায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের মদতে চলা মৌলবাদী নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন গজবা-ই-হিন্দের মডিউলের খোঁজে তল্লাশি চালায়। এছাড়া তারা তল্লাশি চালায় উত্তরপ্রদেশের বারেলি (Bareilly) ও গুজরাটের সুরাটের (Surat) একটি করে জায়গায়। তিনটি রাজ্যের মোট পাঁচটি জায়গায় গজবা-ই-হিন্দের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহভাজনদের সম্পত্তিতে এই তল্লাশি চলে।

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশির ফলে পাঁচটি জায়গা থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন, মেমোরি কার্ড, সিম কার্ড ও কাগজপত্র-সহ বেশকিছু আপত্তিকর জিনিস বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

গত বছর ১৪ জুলাই বিহারের পাটনা জেলার ফুলওয়াড়িশরিফ এলাকা থেকে মারগুভ আহমেদ দানিশ ওরফে তাহির নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। এরপরই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের মদতে চলা গজবা-ই-হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্বের কথা জানতে পারে এনআইএ। ২২ জুলাই এই মামলাটি হাতে নিয়ে নতুন করে মামলা দায়ের করে তারা। তার ভিত্তিতে এই বছরের ৬ জানুয়ারি ভারতীয় দণ্ডবিধি ও আনলফুল অ্যাক্টিভিটিস (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট ১৯৬৭-এর একাধিক ধারায় মারগুভ আহমেদ দানিশের নামে চার্জশিট দায়ের করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা।

এই বিষয়ে তাদের তরফে জানানো হয়, ধৃত দানিশ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা পরিচালিত গজবা-ই-হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য বলে তদন্তে জানা যায়। এই জঙ্গি সংগঠন ভারতে গজবা-ই-হিন্দ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুব সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়ে উগ্রপন্থী বানানোর লক্ষ্যে কাজ করছিল। আর খোঁজ মেলে যে পাকিস্তানের একজন নাগরিক জাহিন গজবা-ই-হিন্দের নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিল যার অ্যাডমিন ছিল মারগুভ। অ্যাডমিন হওয়ার পরেই সে ওই গ্রুপে অনেক ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি ও ইয়েমেনর নাগরিককে যুক্ত করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, এভাবে ভারতে প্রচুর স্লিপার সেল তৈরি দেশজুড়ে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানো। এর জন্য মারগুভ পরে গজবা-ই-হিন্দের নামে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ,টেলিগ্রাম ও বিআইপি মেসেঞ্জার গ্রুপও খোলে। আরও পড়ুন: NCP: ৪০ এনসিপি বিধায়কের সমর্থন বিজেপি-শিন্ডে সরকারকে, কেন্দ্রে মন্ত্রী হতে পারেন প্রফুল্ল প্যাটেল