West Bengal Post-Poll Violence Case: পলাশ মণ্ডল খুনের ঘটনায় চার্জশিট সিবিআইয়ের, ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় পঞ্চম চার্জশিট

রাজ্যে 'ভোট পরবর্তী হিংসা-অশান্তি'(Post-Poll Violence) মামলায় ফের চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। নদিয়ার কোতয়ালির বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত ২ মে রাজ্য বিধানসভায় ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের একের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয় বিজেপি।

Crime Scene. (Photo Credits: Twitter)

কলকাতা, ১১ সেপ্টেম্বর: রাজ্যে 'ভোট পরবর্তী হিংসা-অশান্তি'(Post-Poll Violence) মামলায় ফের চার্জশিট দিল সিবিআই (CBI)। নদিয়ার কোতয়ালির বিজেপি কর্মী পলাশ মণ্ডল (Palash Mondol) খুনের ঘটনায় চার্জশিট (Charge Sheet) পেশ করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। গত ২ মে রাজ্য বিধানসভায় ভোটের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যের একের পর ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয় বিজেপি। ১৪ জন নদিয়া (Nadia)-র কোতয়ালির পলাশ মণ্ডল খুন হন। অভিযোগ রাজনৈতিক কারণেই তিনি খুন। এরপর আদালতের নির্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ভোট পরবর্তী অশান্তির তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। নদিয়া পলাশ মণ্ডল খুনের ঘটনার চার্জশিটে তুফান দাস, কুশল দাস সহ মোট ১৫ জনের নাম রয়েছে। খুন, অস্ত্র আইন-সহ বিভিন্ন ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে 'ভোট পরবর্তী অশান্তি' মামলায় সিবিআইয়ের এটি পঞ্চম চার্জশিট।

পলাশ মণ্ডল খুনের ঘটনায় অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে পলাশের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। মারধরের পর গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়। এই খুনকে সম্পূর্ণ তৃণমূলের পরিকল্পনা বলে অভিযোগ করে সরব হয়েছিল বিজেপি। তবে এই খুনে তাদের কোনও ভূমিকাই নেই বলে তৃণমূল জানায়। আরও পড়ুন: 'ভবানীপুরের মানুষের উপর আস্থা ছিল না মমতার', প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে আক্রমণ দিলীপের

পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৯টি মামলা রুজু করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার চারটি বিশেষ ইউনিট রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমেছে। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হত্যা, ধর্ষণ এবং ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের ক্ষেত্রে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এছাড়া, অন্যান্য অপরাধের তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করতে বলেছিল।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির একটি বেঞ্চ আরও নির্দেশ দিয়েছিল যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য সরকার এবং অন্য যে কোনও কমিশন বা কমিটির কাছে আসা খুন ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের সমস্ত রেকর্ড সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য। তবে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন সব মামলা স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।