One Nation One Election: দেশের আসল সমস্যা থেকে সরানো জন্য এক দেশ এক নির্বাচনের প্রস্তাব পাশ করানো হচ্ছে, মন্তব্য কংগ্রেস নেত্রীর

এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার এই রিপোর্ট পাশ হওয়ার পর আগামী অধিবেশনে এই বিল পাশ করানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে মোদী সরকার।

এক দেশ এক নির্বাচন (One Nation One Election) নিয়ে কোবিন্দ কমিটির (Kovind Committee) রিপোর্ট পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। বুধবার এই রিপোর্ট পাশ হওয়ার পর আগামী অধিবেশনে এই বিল পাশ করানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে মোদী সরকার। যদিও এই নিয়ে অযথা উচ্ছাসিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছে না কংগ্রেস শিবির। তাঁদের মতে এই ধরনের প্রস্তাব নিয়ে এসে দেশবাসীর মন ভোলানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। এদিন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এরকম একাধিক প্রস্তাব পাশ করে, পরে আবার নিজেরাই ইউ-টার্ন নিয়ে নেয়। এক দেশ এক নির্বাচনও হল এরকমই একধরনের প্রস্তাব। বেকারত্ব, হিংসার রাজনীতি এই নিয়ে যখনই জনগণ প্রতিবাদ দেখাবে তখনই তাঁদের মন ভোলাতে এই রকম কর্মসূচি নেওয়া হয়।

সুপ্রিয়া শ্রীনাথ আরও বলেন, সারা দেশে এক নির্বাচন হলে রাজ্য সরকারগুলির কী হবে। জেডিইউ, টিডিপি দলের নেতাদের কী বলবেন? এমনকী বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কী হবে? তাঁরা চুপ করে বসে থাকবে তো? অন্যদের মুখ বন্ধ করাতে পারলেও কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। এক দেশ এক নির্বাচন কোনওভাবেই হওয়া সম্ভব নয়।

এক দেশ এক নির্বাচনকে বাস্তবায়িত করার জন্য ২০২৩-এর ১ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়েছিল কেন্দ্র সরকার। গত ১৪ মার্চ কোবিন্দের নেতৃত্বে এই কমিটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর কাছে মোট ৮টি খণ্ডে বিভক্ত ১৮ হাজার পাতার রিপোর্ট পেশ করা হয়ছিল