Vizag Gas Tragedy: ভাইজ্যাগ গ্যাস দুর্ঘটনাকাণ্ডে এলজি পলিমার্স দেবে ৫০ কোটির ক্ষতিপূরণ, নির্দেশ গ্রিন ট্রাইব্যুনালের

ভাইজ্যাগ গ্যাস দুর্ঘটনায় (Vizag Gas Tragedy) অভিযুক্ত সংস্থা এলজি পলিমার্সকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ শোনার পরে বাকি টাকা ধার্য করা হবে। ভাইজ্যাগের গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই পরিবেশ মন্ত্রক, বন বিভাগ, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্যদ এবং আবহাওা দপ্তরকেও এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় লাগোয়া এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক পরিবেশ বিপন্ন। প্রচুর বাসিন্দা অসুস্থয অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। এলাকার জলের ক্ষতি হয়েছে। পশুপাখির ক্ষতি হয়েছে। এসবেরই ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ কোটি টাকা জমা করতে হবে। ক্ষতির হিসেব মিটলে টাকার অঙ্ক বাড়তেও পারে।

এলজি পলিমার্স বিশাখাপত্তনম Photo Credits: @GummallaSrijana | Twitter

নতুন দিল্লি, ৮ মে: ভাইজ্যাগ গ্যাস দুর্ঘটনায় (Vizag Gas Tragedy) অভিযুক্ত সংস্থা এলজি পলিমার্সকে প্রাথমিকভাবে ৫০ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ শোনার পরে বাকি টাকা ধার্য করা হবে। ভাইজ্যাগের গ্যাস দুর্ঘটনা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল ইতিমধ্যেই পরিবেশ মন্ত্রক, বন বিভাগ, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্যদ এবং আবহাওা দপ্তরকেও এই মর্মে নোটিস পাঠিয়েছে। বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ায় লাগোয়া এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ, সামাজিক পরিবেশ বিপন্ন। প্রচুর বাসিন্দা অসুস্থয অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে। এলাকার জলের ক্ষতি হয়েছে। পশুপাখির ক্ষতি হয়েছে। এসবেরই ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ কোটি টাকা জমা করতে হবে। ক্ষতির হিসেব মিটলে টাকার অঙ্ক বাড়তেও পারে।

কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে ভাইজ্যাগের এলজি পলিমার্স ইন্ডাস্ট্রি ৪০ দিনের উপরে বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার শুধু ভোরবেলাতেই নয়, রাত বাড়লেও ফের বিশাখাপত্তনমের ওই কারখানা থেকে গ্যাস লিক শুরু হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কারাখানা লাগোয়া আশপাশের গ্রামের বাসিন্দারা। বাড়ি ছেড়ে লোকে রাস্তায় বেরোতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজে হাত লাগায় দমকলের ৫০ জন কর্মী ও জাতীয় বিপর্য় মোকাবিলা বাহিনীর (NDRF) একটি দল। বিশাখাপত্তনমের দমকল কর্তা সন্দীপ আনন্দ জানান, নিরাপত্তার কারণে আগেভাগেই কারখানা লাগোয়া ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা গ্রামগুলি খালি করার কাজ শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে রয়েছে। আছে দু'টি ফোম টেন্ডারও। দমকলের কর্মীরা গ্যাস লিক বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। আরও পড়ুন-Vizag Gas Tragedy: রাতে ফের বিশাখাপত্তনমের এলজি-র কারখানা থেকে গ্যাস লিকের খবর, প্রাণ বাঁচাতে ফাঁকা করা হল ২-৩ কিলোমিটারের মধ্যের গ্রাম

বৃহস্পতিবার সকালে রাসায়নিক গ্যাস লিককে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে (Visakhapatnam)। সেখানকার আরআর ভেঙ্কটাপুরম গ্রামে রয়েছে এল জি পলিমারস ইন্ডাস্ট্রি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকেই বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস লিক হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশু-সহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গ্যাস লিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কারখানা লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের চোখ জ্বলতে শুরু করে। শ্বাসকষ্টও শুরু হয়ে যায়। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট বলছে, খবর পেয়েই আক্রান্তদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, দমকল ও অ্যাম্বুল্যান্স। স্থানীয় প্রশাসন ও নৌবাহিনীর কর্তারা এল জি পলিমার ইন্ডাস্ট্রি লাগোয়া পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন।শিশু-সহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক হাজারেরও বেশি মানুষ। অসুস্থদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এনডিএমএ বিশাখাপত্তনমের এই ঘটনাকে রাসায়নিক বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করেছে।