আস্থা হারিয়ে কর্নাটক হাতছাড়া কংগ্রেস-জেডি(এস)-এর, ৯৯-১০৫ ভোটে হেরে পদত্যাগ মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর-র, দক্ষিণেও পদ্ম ফুটে ইয়েদুরাপ্পা সরকার গড়ার পথে
ভাগ্য লিখনটা পরিষ্কার লেখা ছিল। সেটাই হল। কংগ্রেসের আশঙ্কা সত্যি হয়ে কর্নাটকের ভেঙে গেল মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সরকার। মঙ্গলবার কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।
বেঙ্গালুরু, ২৩ জুলাই: Karnataka Government Formation- ভাগ্য লিখনটা পরিষ্কার ছিল। বিদ্রোহী বিধায়ক, আর বিজেপি-র কৌশলের কাছে হেরে লোকসভা নির্বাচনের ফের বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। কংগ্রেস-জেডি(এস) জোটের আশঙ্কা সত্যি করে কর্নাটকের ভেঙে গেল মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর সরকার। মঙ্গলবার কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে হেরে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে ৯৯-১০৫ ভোটে কুমারস্বামীর হারের পর ফলে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের পতন হল কর্নাটকে। এ বার সরকার জানানোর দাবি জানাবে বিজেপি। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। আরও পড়ুন-স্পেশ্যাল বন্ধুকে নিয়ে দপ্তরে বসেই খেলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্যাপারটা কী?
লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর কর্নাটকের দিকে নজর দিয়েছিল বিজেপি। দক্ষিণের এই রাজ্যে বিজেপি ২৮টির মধ্যে ২৫টি লোকসভা আসনে জেতার পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল কোনও রকমে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা জোগাড় করা কংগ্রেস-জেডিএস জোটের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে সিংহাসন সামলানো মুশকিল। সেটাই হল। প্রথমে সরকার পক্ষের ১৩ জন বিক্ষুদ্ধকে জোগাড় করে একসঙ্গে মুম্বইয়ে হোটেলে রেখে দারুণ কৌশলটাই বিজেপি-কে দক্ষিণের এই রাজ্যে ক্ষমতায় এনে দিল। গত দিন ১৫ মরিয়া চেষ্টা করেও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বাগে আনাতে দূরে কথা নিজেদের ঘরও গোছাতে পারেননি কুমারস্বামী। আস্থা ভোটে কুমারস্বামীর হারের পর বিজেপি-র টুইট, এটা কর্নাটকের জনতার জয়।
আস্থা ভোটের আগে বোঝা যাচ্ছিল সংখ্যার যা অবস্থা তাতে মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী-র আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত। এই কারণেই নাকি স্পিকার ইচ্ছা করে যতটা বেশি সময় নিয়ে আস্থা ভোট করাতে চাইছেন, এমনই অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি-র।
সরকার পক্ষের বিধায়করা ইচ্ছাকৃত দেরি করে আস্থাভোটে বাধা দিচ্ছেন, এই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা।
সংখ্যার কী অবস্থা ছিল
২২৪ সদস্যের কর্নাটক বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১১৩ (টাই থাকা অবস্থায় স্পিকারের ভোটাধিকার ছাড়া)। রাজ্যের শাসক দলের ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফার আগে সংখ্য়াটা ছিল এমন- কংগ্রেস: ৮০, জেডি (এস):৩৭, বিএসপি: ১ মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর পক্ষে সংখ্যাটা ছিল ১১৭। বিজেপি-র সেখানে ছিল নিজেদের ১০৫ জন ও দু নির্দল বিধায়কের সমর্থন। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের পদত্যাগের পর বিধানসভার সদস্য সংখ্যা ২১০-এ নেমে এসেছে, আর তাতে ম্যাজিক ফিগার হয়ে গিয়েছে ১০৬।
কংগ্রেস-জেডি (এস) সরকারের পক্ষে এখন ১০৩ বিধায়কের সমর্থন। তার মধ্যে আবার দুই কংগ্রেস বিধায়ক হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আস্তা ভোটে আসতে পারবেন না বলে কুমারস্বামীর সংখ্যা এখন মাত্র ১০১ গিয়ে ঠেকেছে। কিন্তু শেষ অবধি কুমারস্বামী পেলেন ৯৯টি ভোট,তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দিলেন ১০৫ বিধায়ক।