Tripura: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের গেরো, অশান্তি এড়াতে ত্রিপুরায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Cityzenship Amendment Bill 2019) লোকসভায় পাস হয়েছে। টানা তর্কবিতর্কে ও জোড়াল বিরোধিতার পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে এই বিল পাস করিয়ে নিতে পেরেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। একেবারে শেষমুহূর্তে বিলের সমর্থন করেন শিবসেনা সাংসদরা। তবে বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে সমগ্র উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। অসমে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মানুষ। রাজধানী শহর গুয়াহাটি থেকে শুরু করে গোটা অসমজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। বনধ করে চলছে বিক্ষোভ।
আগরতলা, ১০ ডিসেম্বর: সোমবার মধ্যরাতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (Cityzenship Amendment Bill 2019) লোকসভায় পাস হয়েছে। টানা তর্কবিতর্ক ও জোড়াল বিরোধিতার পরেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সংসদে এই বিল পাস করিয়ে নিতে পেরেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। একেবারে শেষমুহূর্তে বিলের সমর্থন করেন শিবসেনা সাংসদরা। তবে বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। এব্যাপারে এগিয়ে রয়েছে সমগ্র উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি। অসমে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে মানুষ। রাজধানী শহর গুয়াহাটি থেকে শুরু করে গোটা অসমজুড়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। বনধ করে চলছে বিক্ষোভ। প্রতিবেশী ত্রিপুরাতে (Tripura) আছড়ে পড়ল বিক্ষোভের ঝড়। বাধ্য হয়েই ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ করে দিল ত্রিপুরা সরকার।
ত্রিপুরায় রয়েছে বিজেপি শাসিত সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। এদিন সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ জনতা পথে নেমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু করে। টায়ার পুড়িয়ে গাড়ি জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। প্রশাসনিক সক্রিয়তা এই সীমাহীন বিক্ষোভের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে পারেনি। সমাজের সকল স্তরের মানুষ বিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সমাজকর্মী, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী, অপসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ সকলেই রয়েছেন সেই তালিকায়। প্রতিবেশী রাজ্য অসমের ছবি এখন সর্বত্র। মণিপুর মিজোরামেও জ্বলছে আগুন। এসব দেখে রাজ্যে অশান্তি আরও বাড়তে পারে। তই কালবিলম্ব না করে তড়িঘড়ি দুদিনের জন্য ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিল ত্রিপুরা সরকার। সেই সঙ্গে অশান্তি নিয়্ন্ত্রণে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে সেনার টহলদারিও শুরু হতে পারে বলে খবর। আরও পড়ুন-Sri Sri Ravi Shankar: ভারতে বসবাসকারী ১ লক্ষ তামিল শ্রীলঙ্কানকে নাগরিকত্ব বিলের অধীনে আনা হোক, কেন্দ্রের কাছে দরবার করলেন শ্রী শ্রী রবিশংকর
এদিকে বনধের সবথেকে বেশি প্রভাব দেখা দিয়েছে অসমে। গুয়াহাটি, ডিব্রগুড়, জোড়হাট, লখিমপুর, সোনিতপুর প্রভৃতি জায়গায় উত্তাল বিক্ষোভ চলছে। বিভিন্ন জায়গায় রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হচ্ছে। অনেক কলেজের পরীক্ষার সূচিতে বদল আনতে হয়েছে। অসমে বনধ সমর্থন করেছে অল কোচ রাজবংশী স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অল অসম চুটিয়া স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং অল মোরান স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। এই পরিস্থিতি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। অসমের লখিমপুর ও সোনিতপুর জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই বনধকে কেন্দ্র করে কোনও জায়গা থেকে অশান্তি বা সংঘর্ষের খবর আসেনি।
(Social media brings you the latest breaking news, viral news from the world of social media including Twitter, Instagram and YouTube. The above post is embedded directly from the user's social media account. This body of content has not been edited or may not be edited by Latestly staff. Opinions appearing on social media posts and the facts do not reflect the opinions of Latestly, and Latestly assumes no responsibility for the same.)