পিক পকেটের কারণে ভোট মিস! এভাবেই করে নিন ডুপ্লিকেট ভোটার কার্ড
ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে তার যে ডুপ্লিকেট কপি পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না।জনস্বার্থে নির্বাচন কমিশন যে লাগাতার প্রচার চালিয়ে ভোটাধিকারের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছে, কার্ড হারানোর জেরে সেই প্রচেষ্টার পুরোটাই মাঠে মারা যায়।আসুন আজ দেখে নিই নির্বাচন কমিশনের নথিতে ভোটার হিসেবে চিহ্নিত ভারতীয় কীভাবে ডুপ্লিকেট ভোটার আইডি কার্ডের সুবিধা পেতে পারেন।
গোটা দেশজুড়ে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন চলছে।এবারের হাইভোল্টেজ নির্বাচনে ফের এনডিএ ক্ষমতায় আসে নাকি বিরোধী জোট দিল্লি দখল করে তানিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।ভোট প্রক্রিয়া শেষ হলেই সবটাই প্রকাশ্যে আসবে।গণতান্ত্রিক ভারতে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের অধিকার জনগণের রয়েছে।তাই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত ভোটাধিকার প্রয়োগ করা।তবে নানা বাধাবিপত্তির কারণে অনেকেই ইচ্ছে থেকেও ভোট দিতে পারেন না।এই তালিকায় যেমন রয়েছেন ভিনরাজ্যে কর্মরত বাসিন্দা, তেমনই সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকার কারণেও অনেকে ভোট দিতে পারেন না।
মূলত নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটেই(Election Commission Website) ভোটার ও সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যাদি পেয়ে যাবেন।তাই ১৮ বছর হলেই ভোটার হওয়ার জন্য বাসিন্দাদের স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভাতে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিত।কিন্তু মুশকিল হল ভোটারের সচিত্র পরিচয় পত্র থাকার ফলেও অনেকেই ভোট দিতে পারেন না।কেননা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি দুর্ভাগ্যবশতই হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।কিন্তু ভোটার কার্ড হারিয়ে গেলে তার যে ডুপ্লিকেট কপি পাওয়া যায় তা অনেকেই জানেন না।জনস্বার্থে নির্বাচন কমিশন যে লাগাতার প্রচার চালিয়ে ভোটাধিকারের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছে, কার্ড হারানোর জেরে সেই প্রচেষ্টার পুরোটাই মাঠে মারা যায়।আসুন আজ দেখে নিই নির্বাচন কমিশনের নথিতে ভোটার হিসেবে চিহ্নিত ভারতীয় কীভাবে ডুপ্লিকেট ভোটার আইডি কার্ডের(Duplicate Voter Card) সুবিধা পেতে পারেন।
প্রথমত পার্স হারালেই যাবতীয় প্রয়োজনীয় নথিও বেহাত হয়ে যায়।ড্রাইভিং লাইসেন্স(Driving License), আধার, প্যান কার্ডের মতো ভোটার আইডি কার্ডও সাধারণত পার্সে থাকে।যেই বুঝবেন পার্সটি খোয়া গিয়েছে, দেরি না করে হারিয়ে যাওয়া ভোটার আইডি কার্ডের জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ জমা করুন।সেই অভিযোগের একটি কপি নিজের কাছেও রাখুন।
এরপর নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।এই যোগাযোগের দুটি মাধ্যম রয়েছে, এক নিজেই সরাসরি কমিশনের অফিসে যেতে পারেন, নাহলে অনলাইনে কাজ হতে পারে।যদি দ্বিতীয় পন্থায় কাজ সারতে চান তাহলে কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে ০০২ নামের একটি আবেদন পত্র রয়েছে।মূলত ভোটার আইডি কার্ড হারালেই এটির প্রয়োজন পড়ে।ফর্মটি ভাল করে দেখে নিয়ে যাবতীয় তথ্যাদি লিখে ফেলুন, পাশাপাশি সঙ্গে করে আনা এফআইআর-এর কপিটি অ্যাটাচ ফাইলে রাখুন।এরপর পাঠিয়ে দিন।একইভাবে কমিশনের অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করেও কাজটি করতে পারেন।
মনে রাখবেন ফর্ম পূরণের সময় আপনার পরিচয় কিন্তু বিশেষভাবে জরুরি।আর সেকারণেই ফর্মের সঙ্গেই আধার, প্যান ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি অ্যাটাচ করে দিন।সঙ্গে আপনার বাড়ির ঠিকানার প্রামাণ্য নথিও জমা করতে হবে। এটি পুরসভা থেকে এলাকার বাসিন্দা হওয়ার শংসাপত্র বা বিদ্যুতের বিল জমা করতে পারেন।তবে অফিসে গিয়ে ফর্ম ও নথি জমার থেকে অনলাইনে করাই শ্রেয়। তাতে গোটা প্রক্রিয়াটাই গতি পায় এবং খুব শিগগির ডুপ্লিকেট ভোটার আইডিও গ্রাহকের কাছে চলে আসে।
এরপর আসি যাঁরা কমিশনের অফিস থেকে ফর্ম তুলেছেন তাঁদের কথায়।পূরণ করা আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই ভোটার, আধার(Aadhar Card), প্যান কার্ডের(Pan Card) অ্যাটেস্টেড কপি, বাড়ির ঠিকানার প্রমাণপত্র ও কার্ড হারানোর এফআইআর কপি ফের কমিশনের অফিসেই জমা করুন।